কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো
আমরা যখন টাইপ করি তখন মনে হয়, কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো। অক্ষর অনুযায়ী কীবোর্ডগুলোকে কেন সাজানো হলো না? ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাই আজকে আলোচনা করবো কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো, এর প্রকৃত কারণ কি বা কিভাবে কীবোর্ডেরর প্রচলন বা উৎপত্তি হয়েছিল, এমন সব বিষয়ে। সুতরাং চলুন জেনে নিই-
পোস্ট সূচিপত্র: কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো
- কী বোর্ডের ইতিহাস
- কীবোর্ড কয় প্রকার হয়ে থাকে
- কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো
- কীবোর্ডের ফাংশন কয়টি ?
- কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো-শেষ কথা
কী বোর্ডের ইতিহাস :
আজ থেকে প্রায় ১৫১ বছর আগে অর্থাৎ ১৮৭৩ সালে রেমিংটন টাইপ রাইটারটিকেই প্রথম অক্ষর বিন্যাস হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। আর উনিশ শতকের এই যন্ত্র থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল আধুনিক কীবোর্ডের অক্ষর বিন্যাস।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১২টি ট্যুরিস্ট স্পট
ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলস ১৮৭৪ সালে সেই বিন্যাস তৈরি করেছিলেন। যা শুরু হয় Q W E R T Y অর্থাৎ এই ছয়টি অক্ষর দিয়ে। মূলত এই জন্য কীবোর্ডকে বলা হয়ে ‘কোয়ার্টি’। অর্থাৎ সে সময়ের প্রচলিত অক্ষর বিন্যাসকেই বলা হতো রেমিংটন ওয়ান।
কীবোর্ড কয় প্রকার হয়ে থাকে :
কীবোর্ড কয় প্রকার হয়ে থাকে এমন প্রশ্নে বলা যায়, কীবোর্ড অনেক ধরণের হয়ে থাকে, যার মধ্যে টাইপের স্পিড নির্ভর করে। যেমন : QWERTY, তবে QWERTZ এবং Dvorak বেশি জনপ্রিয়। তবে বেশিরভাগ সময়েই ভাওয়েল এবং কনসোনেন্ট পাশাপাশি রাখা হয়। এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, স্পিড বাড়াতে আর লেখার ক্লান্তি দূর করতেই মূলত অক্ষরগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকে। অর্থাৎ কী-বোর্ড কয় প্রকার হয়ে থাকে বলতে তিনটি কী-বোর্ডই ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো
কেন কী-বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো তার কারণ হচ্ছে, আগেকার দিনে ট্রেলিগ্রাফের লাইন দিয়ে প্রতিটি অক্ষরের জন্য ‘টরে-টক্কা’ যে সংকেত পাঠানো হত সেটি হচ্ছে মোর্সকোড। সুতরাং যারা মোর্সকোড নিয়ে কাজ করতেন তাদের কাছে অক্ষরগুলো বর্ণানুক্রমিক থাকলে সেগুলো নিয়ে কাজ করা প্রায় জটিল হয়ে যেত। বিশেষ করে টাইপ রাইটারে টাইপ করার সময় বর্ণগুলোকে শনাক্ত করতে খুব কষ্ট হত। ধারণা করা হয়, টেলিগ্রাম এর কথাগুলো লেখার জন্য যখন টাইপ রাইটার ডিজাইন করা হয়েছিল, তখন পাশাপাশি অক্ষরগুলোকে কাছাকাছি না রেখে দূরে দূরে রেখে কীবোর্ড তৈরি করা হয়েছিল। কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো তা মূলত সে সময় থেকেই কীবোর্ডের অক্ষর বিন্যাস বর্ণানুক্রমিক না হয়ে অন্যরকম বিন্যাসের হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ৫টি বৈধ উপায়সমূহ
আরেকটি তথ্য মতে, শুরুতে টাইপ রাইটারের অক্ষরগুলো বর্ণানুক্রমিক ছিল। তবে সে সময় কেউ কেউ কীবোর্ডে এত দ্রুত টাইপ করতো যে বোতামগুলোর নিচে যুক্ত রড একটি আরকেটির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটতো। আবার কখনো কখনো তা আটকে গিয়ে বন্ধ হয়ে যেত টাইপিং মেশিন। কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো তার কারণ হিসেবে ধারণা করা হয়, সেই সমস্যা সমাধানের মাধ্যম হিসেবে ‘কোয়ার্টি’ কী বোর্ডের প্রচলন শুরু হয়।
কীবোর্ডের ফাংশন কয়টি ?
কী বোর্ডে সাধারণত ৮৪ থেকে ১০১টি ‘কী’ থাকে। আবার কোন কোন কীবোর্ডে ১০৪টি কী আছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কী বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন- (১) ফাংশন কী; (২) অ্যারো কী বা এডিট কী; (৩) আলফাবেটিক কী বা আলফা-নিউমেরিক কী; (৪) নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী এবং (৫) বিশেষ কী বা কমান্ড কী।
কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো - শেষ কথা :
আসলে কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো থাকার পরও নতুন ধরণের লেআউট তৈরি করার প্রচেষ্টা যে হয়নি তা নয়। কিন্তু আমরা কোয়ার্টি কীবোর্ডে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, নতুন কোন কীবোর্ড লেআউট শেখা আমরা ভাবতেই পারিনা।
আরও পড়ুন: রকেট কাস্টমার কেয়ার নাম্বার-রকেট কাস্টমার কেয়ার লাইভ চ্যাট
আশা করছি, এগুলো যদি জেনে থাকেন তাহলে আপনাদের উপকারে আসবে। কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো বিষয়ক আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। এরকম আরো তথ্যমূলক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করতে পারেন। এতোক্ষণ কেন কী বোর্ডের অক্ষরগুলি এলোমেলো বিষয়ক আলোচনায় আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url