দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ

কর্মক্ষেত্রে বা ভাগ্যান্বেষণেই হোক মানুষকে তার প্রয়োজন মেটাতে ঘরের বাইরে যেতে হয়। পৃথিবীতে আজ যা কিছু সৃষ্টি, তার সমস্ত কিছুই মানুষের দ্বারা নির্মিত। অর্থাৎ, এই কাজের মাধ্যমে জগতের মঙ্গল, কাজের মাধ্যমে নিজ ও দেশের সার্বিক সমস্যা সহ অনেক বিষয়েরই সুরাহা হয়ে থাকে। কিন্তু এই কাজের প্রয়োজনে মানুষকে অনেক বহুদূরে যেতে হয়। তাই আমরা দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ আজকের আলোচনায় যুক্ত করেছি।
বর্তমান সময়ে যে বৈরী আবহাওয়া এবং গরম তাতে কাজের প্রয়োজনে বাইরে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে, বাইরে কাজ করার ক্ষেত্রে নারীরা সবথেকে বেশী ভুক্তভোগী। কেননা, একদিকে ঘর-সংসার, সন্তানাদি অন্যদিকে অফিস বা কর্মস্থল। সুতরাং আজকে দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ গুলো জানাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেয়ার চেষ্টা করি:

পোস্ট সূচিপত্র: দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ
দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন
নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ
দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ-শেষ কথা

সব কাজই কাজ, হোক সেটা ঘর-ষংসারের কাজ, সন্তান লালন-পালন করার কাজ অথবা অফিসের বা অর্থের বিনিময়ে কাজ। আসলে আমরা কাজের শ্রেণীবিভেদ না করে যদি এমনটা ভাবি যে, সব কাজই কাজ, তাহলে সংসার নামক বেষ্টিত গন্ডিতে আর কোন সমস্যায় দেখা দিবে না। যদি আমরা এমনটা ভাবি তাহলে দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ সবকিছুই ঠিক-ঠাক ভাবে সমাধা করতে পারবো।

দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন

কাজ করাটা যে কোন জায়গায় হতে পারে। তবে দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ সম্পর্কে নিম্নে বর্ণিত হলো:

বিশুদ্ধ পানি: অর্থাৎ আমরা সবাই জানি বেঁচে থাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই হলো পানি, কারণ পানির অপর নাম জীবন। আর সবথেকে বড় বিষয় হলো, একজন মানুষের প্রতিদিন-৭-৮ গ্লাস বা দুই লিটার পানি পান করার দরকার। আর এই পানি পানে শরীর আর্দ্র থাকে। ফলে প্রয়োজনে বা কাজের ক্ষেত্রে দূরে কাজ করতে যেতে হলে অবশ্যই সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ পানির বোতল রাখতে ভুলবেন না।

আরও পড়ুন: শিশুদের খাওয়ানোর চমকপ্রদ কিছু টেকনিক

খাবার: শরীরকে টিকিয়ে রাখা বা বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ জরুরী, যা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অধিকাংশ ব্যক্তি, যারা বাইরে বা দূরে কোথাও কাজ করতে সঙ্গে করে খাবার নিয়ে যান না, কারণ তারা মনে করেন, বাইরে খেয়ে নিবেন। আসলে আপনার দূরের কাজটি যদি হয় সকালে যাওয়া এবং সন্ধ্যা বা রাত্রে ফেরার মধ্যে ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই বাড়িতে তৈরি অনেকক্ষণ থাকে এমন খাবার সাথে নিয়ে নিন। না হলে বাইরে উস্মুক্ত খোলা জাঙ্কফুড খেয়ে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই অসুস্থ্য হয়ে পড়বেন।

ছাতা: অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং বিপদের বন্ধু হিসেবে ছাতার খ্যাতি সর্বত্রই। বর্তমানে আবহাওয়ার ক্ষণে ক্ষণে আচরণ পরিবর্তনের কারণে, বাইরে গেলে প্রায়ই আমাদের একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তাই দূরে-পারে বা বাইরে কাজের প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই আপনার ব্যাগে একটি ছাতা রাখুন।

পানীয়: আবহাওয়ার আচরণগত কারণে কোন সময় তুমুল বৃষ্টি আবার কোন সময় প্রচণ্ড রোদের কারণে শরীরে পানি ছাড়াও সোডিয়াম বা বিভিন্ন লবণের ঘাটতি দেয়া দেয়। এর ফলে শরীরে মারাত্মক কোন সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সুতরাং অবস্থাগুলি থেকে নিজেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে বাইরে বের হওয়ার সময় আপনার ব্যাগে কিছু প্যাকেটজাত স্যালাইন বা ফলের জুসও রাখতে পারেন।

ফলমূল: দীর্ঘক্ষণ রোদে হাঁটাচলা বা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করার ফলে শরীরে পানি শূণ্যতা তৈরি হয়। অর্থাৎ এই পানিশূণ্যতা দূর করতে এবং শরীরকে হাইড্রেড রাখতে ফল খেতে পারেন। যদি আপনার ব্যাগে তা নিতে না পারেন, তাহলে যেখানে কাজ করছেন সেখানে থেকেই কোন না কোন ফল কিনে খেতে পারেন।

আরও পড়ুন: শিশুর এডিনয়েডের সমস্যা - শিশুর এডিনয়েড কী ও কেন হয় - শিশুর এডিনয়েড আছে কীভাবে বুঝবেন

সানস্ক্রিন: বর্তমানে নারীদের পাশাপাশি অনেক পুরুষও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কারণ সূর্যের ক্ষতিকারক আলন্ট্রাভায়োলেট রশ্মি আমাদের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় মুখে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বের হন এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর তা ধুয়ে ফেলে পুনরায় বের হওয়ার সময় আবার লাগিয়ে নিন। এতে করে সূর্যের ক্ষতিকারক আলন্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে আপনার ত্বক রক্ষা পাবে।

টাকা-পয়সা: বাড়ির বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই মানিব্যাগ/ওয়ালেট ভালোভাবে চেক করে নিন। কারণ আপনি অনেকটা দূরে যাবেন, সেক্ষেত্রে একটু হিসাব-নিকাশ করে খরচের অর্থ ছাড়াও অতিরিক্ত কিছু বেশী টাকা-পয়সা রাখতে ভুলবেন না। বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনন্ত ১৫-২০ মিনিট আগে হলেও আপনার পার্স/মানিব্যাগ/ওয়ালেট পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন।

মোবাইল ফোন: অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে বের হওয়ার সময় অনেকেই মোবাইল ফোনটি বাড়িতে রেখে দেন। এক্ষেত্রে সমস্যা হলো, বাইরে গিয়ে যদি কোন বিপদ-আপদ ঘটে তাহলে জানানোর মতো মাধ্যমই থাকে না। তাই বের হওয়ার আগ মুহুর্তে অবশ্যই মোবাইল/সেল ফোনটি পকেটে ভরে নিন।

চশমা: অতি ছোট্ট ও খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। কারণ অনেকে বাড়িতে থাকাকালে বা স্নান/গোসল করার সময় চশমা খুলে রাখেন, যা পরে আর মনে থাকে না। বাসা থেকে বের হয়ে অনেকটা দূর যাওয়ার পরে খেয়াল হয় চোখে চশমা নেই, ফেরতও আসা যায় না। সুতরাং এমন পরিস্থিতি এড়াতে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে চশমা চোখে পড়ে নিন।

নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ

দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ এর ক্ষেত্রে আর্থিক টানা-পোড়েনেরই জন্য হোক বা সংসারের প্রয়োজনে, একজন নারীর ঘর-সংসার ঠিক রেখে এবং নিজেকে সামলিয়ে কাজে যাওয়াটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক একটি ব্যাপার। এক্ষেত্রে কাজে যুক্ত হওয়ার আগে অবশ্যই পরিবারের সকলের নিকট খোলামেলা আলোচনা করে সম্মতি আদায় করুন। আপনার পরিবারকে বোঝাতে হবে, কেন আপনার বাইরে যাওয়াটা জরুরি? সন্তান জন্ম দেয়ার আগে অবশ্যই আপনার স্বামী-পরিবার, সবার সাথে বিষয়টি নিয়ে অগ্রিম আলোচনা করে রাখুন। যদি পারেন, অল্প বয়সেই বাচ্চাদের অন্তত কিছু বিষয়ে অভ্যস্ত করে নেয়ার চেষ্টা করুন। বাচ্চাদের স্বনির্ভর বা অভ্যস্ত করার অর্থ এই নয় যে, প্রতিটা কাজই তারা নিজেরা করবে। কিন্তু বেশিরভাগ কাজই যাতে তারা নিজেরা করতে পারে এমন শিক্ষা দিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যেমন-সকালে মুখহাত ধুয়ে নাস্তা করা বা নান্তার টেবিলে আসার কাজটা তাদের নিজেরাই করতে পারে। আপনার আর্থিক সংগতি হলে প্রয়োজনে বিশ্বস্ত কাজের লোক রাখতে পারেন। প্রয়োজনে ছুটির দিনগুলোতে সংসারের সমস্ত কাজ তদারকি করে দিক-নির্দেশনা দিয়ে রাখতে পারেন, যাতে আপনি কর্মজীবনে গেলেও তা সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। ছুটির দিনগুলোতে অবশ্যই বাচ্চাকে বেশী সময় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অফিসের কাজের চাপে অনেক সময় বাসায় ফিরতে দেরী হতে পারে, এক্ষেত্রে পূর্বেই আপনার স্বামী বা পরিবারের লোকজনকে অবহিত করুন। আসলে মূল বিষয় হচ্ছে সবকিছুই সঠিক সময়ে ম্যানেজ করে চলাটাই একটি চ্যালেঞ্জ বা বাধা, তাই সঠিক দিক-নিদের্শনা ও স্বীয় বুদ্ধিমত্তার বদৌলতে এই বাধাকে জয় করে চলতে পারাটাই ভবিথ্যত জীবনে একজন নারীকে করে তোলে মহীয়ান।

দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ-শেষ কথা:

দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ-এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন: কোন সব খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে - শিশু দ্রুত লম্বা হবে কোন খাবারগুলো খেলে?

আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত দূরে কাজ করতে সঙ্গে কী কী রাখা প্রয়োজন - নারীদের ঘরে ও বাইরে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলসমূহ বিষয়ক আর্টিকেল এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Mithu Sarker
Mithu Sarker
আমি মিঠু সরকার, দুই বছর ধরে ডিজিটাল মার্কেটিং ও এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে আসছি। ব্লগ পোস্ট, ওয়েব কনটেন্ট ও মার্কেটিং রাইটিংয়ে আমার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। মানসম্মত ও পাঠকবান্ধব লেখার মাধ্যমে অনলাইন সফলতা গড়াই আমার লক্ষ্য।