হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ
শরীরের ওজন সব সময়ের জন্যই একটি বাড়তি ঝামেলা বয়ে আনে। অতি স্থুলকায় ব্যক্তি যেমন অস্বস্তির কারণ হতে পারে আবার অতি ক্ষীণকায়ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদেরকে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে হবে।
হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন, খাদ্যাভাস, বংশগত কারণ, ঔষুধের প্রতিক্রিয়া, পরিশ্রম না করা, অত্যধিক ফাস্টফুড বা ফ্যাটিযুক্ত খাবার গ্রহণ ইত্যাদি। তাই আমাদের হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিম্নের লেখাটি পড়তে হবে।
পোস্ট সুচিপত্র: হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ (Causes of sudden weight gain)
ভূমিকা:
সিনেমার ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই, অনেক নায়ক-নায়িকা আছেন, যারা কোন বিশেষ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মোটা হয়ে গেছে, আবার কোন সিনেমার জন্য সিক্স প্যাক দেহ গঠন করে দিব্যি বিশেষ কোন চরিত্রে অভিনয় করছে। আসলে সিনেমার মত আমাদের জীবনে তা ঘটেনা, কেউ মোটা হলে মোটা হয়েই যাচ্ছি, কীভাবে কমাবো তা বুঝতে পারিনা। বিভিন্ন পরামর্শ ও নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিই যে, খাবার কমিয়ে দিলেই পাতলা হয়ে যাবো। এমন সিদ্ধান্ত কি আসলেই সঠিক? মূলত শারীরিক কাঠামো বিশেষ করে শরীরের উচ্চতার উপর নির্ভর করে আমাদের ওজন কত হওয়া উচিত। আবার এটাও আমরা অনেকেই জানিনা যে, একজন মানুষের প্রকৃত ওজন কত হলে তিনি সুস্থ্য থাকবেন। একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, শরীরের স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে বেশি হলেই ফলাফল ঘটে নানারকম রোগবালাই বা অসুখ-বিসুখ। তাই হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে পারেডায়াবেটিস, হাইপ্রেসার, ষ্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি, রক্তের কোলেষ্টেরল বৃদ্ধি সহ নানাবিধ সমস্যা।
মনে করুন, কারও বিএমআই যদি ২০ - ২৫ কেজি/মিটার স্কয়ার হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে। আবার কারো যদি বিএমআই ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে, তাহলে ওজন অনুযায়ী তাকে ওভার ওয়েট বলা যেতে পারে।
আজকাল ঘরের বাইরে অনেকেই ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসে থাকে, চাইলে সেখান থেকেও ওজন ও আপনার শারীরিক উচ্চ জেনে নিতে পারেন। আবার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও ফ্রি নিজের ওজনটা মেপে নিতে পারেন।
* অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে তা তা মেদ ধমনীর দেওয়ালে জমতে শুরু করে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় এবং সেইসঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
কীভাবে ওজন মাপবেন?
আপনার স্মার্টফোন দিয়ে বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে পারেন। কারণ বিএমআই হলো একটি গাণিতিক ফর্মূলা, যার মাধ্যমে খুব অনায়াসেই আপনার ওজন কত হওয়া উচি তা বের করতে পারবেন। অর্থাৎ সূত্রটি এমন, বিএমআই = ওজন(কেজি) / [উচ্চতা (মিটার)]২মনে করুন, কারও বিএমআই যদি ২০ - ২৫ কেজি/মিটার স্কয়ার হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে। আবার কারো যদি বিএমআই ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে, তাহলে ওজন অনুযায়ী তাকে ওভার ওয়েট বলা যেতে পারে।
আজকাল ঘরের বাইরে অনেকেই ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসে থাকে, চাইলে সেখান থেকেও ওজন ও আপনার শারীরিক উচ্চ জেনে নিতে পারেন। আবার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও ফ্রি নিজের ওজনটা মেপে নিতে পারেন।
ওজন বাড়লে কী কী সমস্যার সৃষ্টি হয়:
* হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ-এ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সৃষ্টি হয়। কারণ শরীরে যখন অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়, তখন অন্ত্রে জমা হওয়া পায়খানাকে শক্ত করে ফেলে। যার ফলে মোটা হওয়ার কারণে পায়খানার সমস্যা সৃষ্টি হয়।* অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে তা তা মেদ ধমনীর দেওয়ালে জমতে শুরু করে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় এবং সেইসঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
* আবার হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ-এ শরীরের অতিরিক্ত মেদ থেকে ইনসুলিন ক্ষরণের পরিমাণ ব্যাহত হয়। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
* ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদগুলি বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জমতে শুরু করে। অর্থাৎ লিভারে এই মেদ জমলে, সেখান থেকে প্রয়োজনীয় উৎসেচকের ক্ষরণের পরিমাণ কমে যায় এবং এর ফলে শারীরবৃত্তীয় নানা প্রক্রিয়া বিঘ্নিত ঘটে, যাকে বলে লিভারজনিত সমস্যা।
* অস্টিওআর্থারাইটিস অর্খাৎ দেহের ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা চাপ পড়ে হাঁটুর উপর। তখন হাঁটু, নিতম্বে ব্যথা, পায়ে ব্যথি, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথার যন্ত্রণা বেড়ে যায়।
* শরীরের হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ-এর ফলে ডায়াবেটিস থেকে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত ঘটলে তা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
* হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। কারণ ওজন বাড়ার ফলে ওবেসিটি প্রদাহ বাড়ে, পাশাপাশি এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং জেরেই বিষণ্ণতা ঘিরে শরীরে।
* অস্টিওআর্থারাইটিস অর্খাৎ দেহের ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা চাপ পড়ে হাঁটুর উপর। তখন হাঁটু, নিতম্বে ব্যথা, পায়ে ব্যথি, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথার যন্ত্রণা বেড়ে যায়।
* শরীরের হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ-এর ফলে ডায়াবেটিস থেকে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত ঘটলে তা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
* হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। কারণ ওজন বাড়ার ফলে ওবেসিটি প্রদাহ বাড়ে, পাশাপাশি এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং জেরেই বিষণ্ণতা ঘিরে শরীরে।
* শরীরে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ-এর ফলে দেহে জমা হওয়া অতিরিক্ত চর্বি মাথায় অক্সিজেনযুক্ত চর্বি চলাচলে বাধা দেয়। যার কারণে মাইগ্রেনের মতো তীব্র মাথা ব্যথার অসুখ সৃষ্টি হতে পারে।
* শরীরের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় এবং সে কারণে ঘামও বেশি হয়। আর ঘাম থেকে দেহের একাধিক অংশে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে।
* দেহের অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক নারীর উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে হরমোনগত ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
* শরীরের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় এবং সে কারণে ঘামও বেশি হয়। আর ঘাম থেকে দেহের একাধিক অংশে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে।
* দেহের অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক নারীর উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে হরমোনগত ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
* শরীরের ওজন বাড়ার কারণে নড়াচড়া, হাঁটাচলা, খাওয়া-দাওয়াসহ নানারকম সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেয়।
* শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণে টয়লেটজনিত সমস্যা, উঠানামাজনিত সমস্যাসহ গরমজনিত সমস্যাগুলি প্রকট আকার ধারণ করে।
* অস্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
* অনেকের আবার বংশগত কারণেও মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে।
* বিশেষ করে হাইপোথায়রয়েডিজমের রোগীরা থাইরয়েড হরমোনজনিত অভাবের কারণে এবং প্রেডার উইলি, হলট ওরাম সিন্ড্রোমের রোগী জিনগত কারণের ফলে মোটা হয়ে থাকেন।
কি কি কারণে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে:
প্রথমেই বলা যায়, শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হলে সময়মত খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম, হাঁটাচলা এক কথায় শরীর নামক যন্ত্রটিকে দিয়ে যেমন কাজ করাতে হবে আবার প্রয়োজনে বিশ্রামও দিতে হবে। চলুন হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ এর সম্ভাব্য বিষয়গুলি জেনে নিই-* অস্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
* অনেকের আবার বংশগত কারণেও মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে।
* বিশেষ করে হাইপোথায়রয়েডিজমের রোগীরা থাইরয়েড হরমোনজনিত অভাবের কারণে এবং প্রেডার উইলি, হলট ওরাম সিন্ড্রোমের রোগী জিনগত কারণের ফলে মোটা হয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: সুস্থ্য থাকতে হলে কী করণীয় - কিভাবে সুস্থ্য থাকা যেতে পারে
* শারীরিক পরিশ্রমও শরীর মোটা হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। অর্থাৎ যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাদের ওজন বৃদ্ধি হওয়াটা খুবই স্বাভাকিক।* যেসব ব্যক্তির ঘুম অনিয়ন্ত্রিত বা যারা অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা বা টেনশনে থাকে, তাদেরও ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
* যেসব ব্যক্তিগণ সময়মত খা্দ্য গ্রহণ করেন না, বিশেষ করে ফ্যাটিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন বেশি, তাদেরও ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে অনেক বেশি।
* শিশুদের ছোটকাল হতেই বিভিন্ন প্রকার ফাস্টফুডে অভ্যস্তের কারণে শিশুরা স্থুলকায় হয়ে যেতে পারে।
* উচ্চাভিলাষী জীবন যাপনের ফলে ব্যক্তি বা শিশু স্থুলকায় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়ে থাকে।
* আজকালকার পিতা-মাতাগণ তাদের সন্তানের খেলাধুলা না করিয়ে সবসময় ঘরের ভিতরে বন্দি করে রাখার ফলেও শিশুরা মোটা হয়ে যেতে পারে।
* যে ব্যক্তির উচ্চতা ৫ ফিট থেকে ৭ ইঞ্চি এর মধ্যে হয়, তাহলে তার ওজন হবে ৫৩.৫ ইঞ্চি হতে ৬৬.৪ কেজি পর্যন্ত।
* যে সকল ব্যক্তিদের উচ্চতা সাধারণত ৫ ফিট থেকে ৮ ইঞ্চি এর মধ্যে হয়ে থাকে, তাদের ওজন হবে ৫৫.৪ ইঞ্চি হতে ৬8.8 কেজি পর্যন্ত।
* যাদের উচ্চতা ৫ ফিট থেকে ৯ ইঞ্চি এর মধ্যে হয়, তাহলে তার ওজন হবে ৫৬.৭ ইঞ্চি হতে ৭০.৪ কেজি পর্যন্ত।
* যে সকল ব্যক্তির উচ্চতা ৫ ফিট থেকে ১০ ইঞ্চি এর মধ্যে হয়, তাহলে তার ওজন হবে ৫৮.৬ ইঞ্চি হতে ৭৩ কেজি পর্যন্ত।
* যেসব ব্যক্তিগণ সময়মত খা্দ্য গ্রহণ করেন না, বিশেষ করে ফ্যাটিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন বেশি, তাদেরও ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে অনেক বেশি।
* শিশুদের ছোটকাল হতেই বিভিন্ন প্রকার ফাস্টফুডে অভ্যস্তের কারণে শিশুরা স্থুলকায় হয়ে যেতে পারে।
* উচ্চাভিলাষী জীবন যাপনের ফলে ব্যক্তি বা শিশু স্থুলকায় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়ে থাকে।
* আজকালকার পিতা-মাতাগণ তাদের সন্তানের খেলাধুলা না করিয়ে সবসময় ঘরের ভিতরে বন্দি করে রাখার ফলেও শিশুরা মোটা হয়ে যেতে পারে।
একজন মানুষের প্রকৃত ওজন কত হওয়া উচিত?
একজন সুস্থ্য মানুষের বা উচ্চতা অনুযায়ী একজন মানুষের সঠিক ওজন কত হতে পারে। আসলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ এটাও একটি অন্যতম কারণ। চলুন তা জেনে নিই, যেমন-* যে ব্যক্তির উচ্চতা ৫ ফিট থেকে ৭ ইঞ্চি এর মধ্যে হয়, তাহলে তার ওজন হবে ৫৩.৫ ইঞ্চি হতে ৬৬.৪ কেজি পর্যন্ত।
* যে সকল ব্যক্তিদের উচ্চতা সাধারণত ৫ ফিট থেকে ৮ ইঞ্চি এর মধ্যে হয়ে থাকে, তাদের ওজন হবে ৫৫.৪ ইঞ্চি হতে ৬8.8 কেজি পর্যন্ত।
* যাদের উচ্চতা ৫ ফিট থেকে ৯ ইঞ্চি এর মধ্যে হয়, তাহলে তার ওজন হবে ৫৬.৭ ইঞ্চি হতে ৭০.৪ কেজি পর্যন্ত।
* যে সকল ব্যক্তির উচ্চতা ৫ ফিট থেকে ১০ ইঞ্চি এর মধ্যে হয়, তাহলে তার ওজন হবে ৫৮.৬ ইঞ্চি হতে ৭৩ কেজি পর্যন্ত।
হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ - পরিশেষে:
প্রত্যেক মানুষ তার বডি, হাইট ও ওয়েট অনুযায়ী শরীরের একটি নির্দিষ্ট ওজন রয়েছে। যখনই শরীর এই ওজন ক্রস করে তখনই শুরু নানারকম অসুখ-বিসুখসহ নানান অসুবিধা। হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আসলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ গুলো বেশির ভাগই আমাদের কর্তৃক সৃষ্ট। যেমন-অনেকেরই বদ অভ্যাস হল সময়মত কিছু না করা, অর্থাৎ উদাসীনতা, অলসতা, নিজের বুদ্ধিমত্তার উপরে অগাধ বিশ্বাস, অন্যের মতামতকে প্রাধান্য না দেয়া, নিজের সিদ্ধান্তেই অবিচল থাকা, জানার চেষ্টা না করা এ রকম নানা অজুহাত আমরা নিজেরাই তৈরী করে রেখেছি। আমাদের শরীরে যে অসংখ্য রোগব্যাধি আছে বা আমরা সাথে করে নিয়ে বেড়াচ্ছি তা আমরা জানলেও বিশ্বাস করিনা। বর্তমানে শরীরে রোগ-বালাই বিহীন মানুষই দেখতে পাওয়া যায় না। যাইহোক অনেক জ্ঞানের বিষয় আলোচনা করলাম, কারণ এ সবগুলো জ্ঞানের ব্যাপারে আপনারা অবশ্যই জানেন।
আরও পড়ুন: কোমর ব্যথা হলে কি করণীয় - নিরাময় পদ্ধতিগুলি কি কি
আজকের হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ বিষয়ক আলোচনাটি আপনাদের যদি কোন উপকারে আসে, তাহলে আমরা খুবই কৃতজ্ঞ থাকবো। আর্টিকেল সম্পর্কিত ভুল-ত্রুটি বা কোন বিষয়ে জানতে চাইলে কমেন্টস-এ তা জানাতে পারেন। পরিশেষে দীর্ঘক্ষণ হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ বিষয়ক আলোচনায় যুক্ত থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url