কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

• কাঁঠালের বিচি খেতে পারলে তা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
•  কাঁঠালের বিচি আমাদের শরীর হতে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে থাকে।
• থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণেও কাঁঠালের বিচি অসামান্য অবদান রাখতে সাহায্য করে থাকে। 
• যদি নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খাওয়া যায়, তাহলে তাতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব।
• কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
• কাঁঠালের বিচি খাওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো সম্ভব।
• ঠান্ডা দুধে কাঁঠালের বিচি পিষে তা ত্বকে লাগালে ত্বক টানটান থাকে।

আরও পড়ুন: স্ট্রবেরি ফলের পুষ্টিগুণ ও এর উপকারিতা

• কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে অতি উচ্চ মানের প্রোটিন, যা আমাদের পেশী তৈরির ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে।
• কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ হিসেবে এটি নিয়মিত খেলে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুধা নিবারণ করা সহজ হয়।
• যারা নিরামিষ ভোজী অর্থাৎ মাছ-মাংস খান না, তাদের ক্ষেত্রে মাছ, মাংসের পরিবর্তে প্রোটিন পেতে চাইলে কাঁঠালের বিচি হতে পারে উৎকৃষ্ট খাবার।
• কাঁঠালের বিচিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো ফ্রি র‌্যাডিকেলের সাথে লড়াই করতে পারে এবং এর ফলে অকাল বার্ধক্য ও মুখের বলিরেখা দূর করা সম্ভব হয়।
• কাঁঠালের বিচিতে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা ও অন্যান্য রক্তরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া আয়রন মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্র সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
• কাঁঠালের বিচির অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা এর ফলে তা নিয়মিত খেলে চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে ও চুল পড়া কমে। 
• কাঁঠালের বিচির পুষ্টিগুণ এতোটাই বেশি যে, এর প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস সমূহ আমাদের শরীরের মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে।

• কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ হিসেবে এটি বিভিন্ন তরকারিতে ও মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়।
• তেল-লবণ-হলুদ মিশিয়ে তা ভেজে খাওয়া যায়।
• কাঁঠালের বিচি সিদ্ধ বা ভর্তা করে খাওয়া যায়।
• কাঠ খোলাতেও কাঁঠালের বিচি ভেজে বা পুড়িয়েও খাওয়া যেতে পারে।
• বিভিন্ন সবজি দিয়ে চচ্চড়ির সাথে কাঁঠালের বিচি খাওয়া যেতে পারে।