স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি
চলমান সময়ে মানুষের জীবনযাপনের সঙ্গে যে রোগগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্ট্রোক। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি তা জানতে হবে।
বর্তমানে অনেকেরই স্টোক সস্পর্কে হালকা কিছু ধারণা আছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্ট্রোক কি, কোথায় হয়, স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি, লক্ষণ এবং কিভাবে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে তা জানতে নিচের লেখাটি পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র: স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি
স্ট্রোক কি?
স্ট্রোক কোথায় হয়?
টিআইএর এর লক্ষণগুলি কি কি?
স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিসমূহ ও লক্ষণগুলি কি কি ?
চিকিৎসা সেবা
শেষ কথা
স্ট্রোক কি?
প্রথমেই জানতে হবে স্ট্রোক কি? অর্থাৎ আমাদের স্বাভাবিক জীবনের চলমান ধারায় মস্তিস্কের কোনও রক্তনালীতে স্থায়ীভাবে রক্তজমাট বাঁধলে সেই অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারলে মস্তিস্কের সেই নির্দিষ্ট অংশে অক্সিজেন পৌঁছায় না। যার ফলে সেই অংশটিও কাজ করতে পারে না। ফলাফল স্ট্রোক।
স্ট্রোক কোথায় হয়?
অনেকে বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেন, আসলে স্ট্রোক হয় মাথায়। বুকে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।
টিআইএর এর লক্ষণগুলি কি কি?
স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি এর ক্ষেত্রে স্ট্রোক হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে যে সংকেতগুলি লক্ষ্য করা যায় তাকে ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক (টিআইএ) বলে। গবেষনা তথ্য অনুযায়ী টিআইএ হওয়ার পরের ৩ মাসের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে শতকরা ২ থেকে ১৭ শতাংশ এর মধ্যে। বলাবাহুল্য যে, টিআইএ-তে আক্রান্ত ৩৩ শতাংশ মানুষ অবশ্য এক বছরের মধ্যেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকে। একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, টিআইএ হল মিনি স্ট্রোক। নিম্নে স্ট্রোকের লক্ষণগুলি কি কি হতে তা বর্ণিত হলো:
- হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া
- কথা জড়িয়ে যাওয়া
- চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- দুর্বল অরুভব করা
- প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা
- হঠাৎ করে কাউকে চিনতে না পারা
- হাঁটতে সমস্যা হওয়া
আরও পড়ুন: ব্যথানাশক ঔষধ দীর্ঘদিন খাওয়া যাবেনা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিনি স্ট্রোক আক্রান্তের এক ঘন্টার মধ্যে রোগী সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। তবে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এ সমস্যা ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। শুধুমাত্র এ কারণেই মিনি স্ট্রোক বা ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক ( টিআইএ) নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না।
স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিসমূহ ও লক্ষণগুলি কি কি ?
- উচ্চ রক্তচাপের কারণে স্ট্রোক হতে পারে;
- স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি এর মধ্যে ডায়াবেটিসের কারণে স্ট্রোক হতে পারে;
- সাধারণত রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে স্ট্রোক হতে পারে;
- স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি এর মধ্যে বংশানুক্রমিক ধারার কারণে তা হতে পারে;
আরও পড়ুন: স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার কারণসমূহ ও প্রতিকার
- যারা অতিরিক্ত ধুমপান ও মদ্যপান করে থাকেন, তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশী;
- ওজন বেশি হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি এর মধ্যে একটি;
- অত্যাধিক মানসিক চাপও স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি ক্ষেত্রে একটি কারণ;
- নিয়ম বর্হিভূত উচ্চ ব্যথানাশক ঔষধ সেবনের কারণেও স্ট্রোক হতে পারে;
- অনিদ্রা বা ঘুম ক্লিয়ার হয়না এমন ব্যক্তিদেরও স্ট্রোক হতে পারে;
চিকিৎসা সেবা
- প্রথম অবস্থায় টিআইএ বা মিনি স্ট্রোক যাই হোক না কেন, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের নিকট যাওয়াটা জরুরী।
- এই ধরণের রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবা যত দ্রুত হবে ততো রোগীর সুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির পর পরবর্তীতে রোগীর রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসা সেবা লাগতে পারে।
শেষ কথা
আসলে স্ট্রোক হলে অনেক ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ স্ট্রোকটি ঘটে আমাদের ব্রেনে। আর আমাদের শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই ব্রেন থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে। স্ট্রোকের কারণে অনেকের প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই কখনও যদি স্ট্রোকের কোনো রকম লক্ষণ টের পাওয়া যায়, অবিলম্বে কারও সাহায্য নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে দেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: শরীরে অতিরিক্ত ঘামের কারণ - নিয়ন্ত্রণে যা করা যেতে পারে
আশা করছি, এগুলো যদি জেনে থাকেন তাহলে আপনাদের উপকারে আসবে। স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি বিষয়ক আলোচনায় আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন এবং পরবর্তীতে অন্য কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে সেটাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো তথ্যমূলক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করতে পারেন। এতোক্ষণ স্ট্রোকের ঝুঁকিসমূহ কি কি সম্পর্কিত আলোচনায় আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url