মুখে তিল কেন হয়? কিভাবে তা দূর করতে হয় জানুন?

মুখে তিল হওয়ার ফলে অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তাই আজকে মুখে তিল কেন হয়? কিভাবে তা দূর করতে হয় জানুন? ইত্যাদি বিষয় জানতে হবে।

জন্মগত ভাবে মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো বা বাদামী চিহ্ন দেখা যায়, যাকে তিল বলা হয়। সুতরাং মুখে তিল কেন হয়? কিভাবে তা দূর করতে হয় জানুন? ইত্যাদি বিষয় জানতে নিচের লেখাটি পড়তে হবে।

মুখে তিল কেন হয়? এমত বিষয়ে বলা যেতে পারে যে, সাধারণত তিল হচ্ছে গোলাকৃতি যা ২-৪ মিমির মতো হয়ে থাকে। এটি আমাদের ত্বকের সমান স্তরে অবস্থান করে তবে এর দ্বারা ত্বকের কোন ক্ষতিসাধিত হয় না। এই তিল অবশ্য অনেকেরই যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় বা শরীরের কোন এক স্থান তা ঘন হয়ে যায়, তখন অনেকেই এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে থাকেন। একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো, তিল কোনো রোগ বা শারীরিক সমস্যা নয়। সাধারণত ফ্রিকেলস বা তিল অনেকটাই বংশগত বা পরিবারের মধ্যে কারও এ সমস্যা থেকে থাকলে অথবা প্রখর সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণেও শরীরে তিল বেশি হয়ে থাকে। তবে যাদের ত্বক ফর্সা তাদের ক্ষেত্রে এ তিল বা দাগ বেশি পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।

ফ্রিকেলস বা তিল সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে। যেমন-এফিলাইডস এবং লেনটিজাইন্স। যেমন- এফিলাইডস তিলগুলি সাধারণত লালচে বাদামি রঙের হয়ে থাকে আর তা গ্রীষ্মকালে বেশী হয়ে থাকে এবং শীত এলেই তা চলে যায়। আবার এই ধরনের ফ্রিকেলস বা তিল বংশগতও হতে পারে।

লেনটিজাইন্স ধরণের তিলগুলি এফিলাইডস তিলের থেকেও গাঢ় রঙের হয়ে থাকে। ছোট ছোট দাগের মতো এগুলো বাদামি বা কালো রঙের দেখা যায়। তবে এই তিলগুলি কিন্তু শীতকালে চলে যায় না, বরঞ্চ তা বছরব্যাপী সুন্দর ত্বকে অবস্থান করে থাকে এবং এটিও অনেকটা বংশগত সমস্যা হিসেবে ধরা হয়।

সাধারণত ফ্রিকেলস বা তিল কালো বা বাদামি দাগ, যা মানুষের মুখের ত্বকেই বেশি হয়ে থাকে। তবে বিশেষ করে এই তিলগুলি সাধারণত নাকের দুই পাশের জায়গাগুলোতেই বেশি হয়ে থাকে। ফর্সা বা ফ্যাকাসে ধরণের ত্বকে এর আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে সবচেয়ে বেশী। তবে রোদের আলোতে তিলগুলি আরও বেশী স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।

আজকের আর্টিকেল মুখে তিল কেন হয়? এবং কিভাবে তা দূর করতে হয় জানুন? ইত্যাদি সম্বন্ধে আপনারা জানতে পেরেছেন। সাধারণত ফ্রিকেলস বা তিল কখনো পুরোপুরিভাবে সেরে উঠেনা একথা ঠিক না। নিয়মিত চর্চায় এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। আসলে ফ্রিকেলস সারিয়ে তোলার জন্য তেমন কোন খাবার নেই, তারপরেও ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু খাদ্য-খাবারের নাম প্রদত্ত হলো, যা ত্বকের তিল সারানোর চিকিৎসায় সহায়তা করে থাকে। যেমন-টাটকা বা সতেজ শাক-সবজি, দুধ, ডিম, বীজ, ভিটামিন এ-বি-সি, ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি। এ ছাড়াও লেজার চিকিৎসার মাধ্যমেও ফ্রিকেলস সারিয়ে তোলা যায়। আবার অনেকেই বিভিন্ন গুণগত ও মানসম্পন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেও ফ্রিকেলস সারিয়ে তোলেন।

সুতরাং মুখে তিল কেন হয়? এবং তা কিভাবে তা দূর করতে হয় জানুন? বিষয়ে জেনে থাকলে আপনাদের উপকারে আসবে। এ ছাড়াও উক্ত বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য/পরামর্শ প্রদান করতে চাইলে কমেন্টের মাধ্যমে তা জানাতে পারেন। সর্বোপরি এতোক্ষণ মুখে তিল কেন হয়? এবং কিভাবে তা দূর করতে হয় জানুন? বিষয়ক আর্টিকেলে দীর্ঘক্ষণ যুক্ত থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।