কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায়

ঝকঝকে কাঠের আসবাবপত্র একটি বাড়ীর আভিজাত্যকে ইঙ্গিত করে। তাই এই কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
বাড়ীর ব্যবহৃত কাঠের ফার্নিচারগুলির যত্ন না নিলে বা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করলে সেগুলো সাধারণত বেশিদিন টিকেনা। সুতরাং কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায় সমূহ জানতে নিচের লেখাটি পড়তে হবে।

পোস্ট সূচিপত্র: কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায় (How to keep wooden furniture shiny)
ভূমিকা
অলিভ ওয়েল ও ভিনেগার মিশ্রণ করে
পেট্রোলিয়াম জেলি দ্বারা
চায়ের লিকার দ্বারা
দাগ দূর করা
নকশাজাতীয় আসবাবপত্র
গরম জিনিস এড়িয়ে চলা
কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায়-পরিশেষে

ভূমিকা:

একটা সময় ছিল যখন মানুষ কাঠমিস্ত্রিকে বাসায় ডেকে নিয়ে এসে বিভিন্ন রকম ফার্ণিচার তৈরি করে নিত। সময়ের সাথে সাথে মানুষের রুচিতে এসেছে নানা পরিবর্তন, সভ্যতার উৎকর্ষতায় মানুষ এখন কাঠের পরিবর্তে নানারকম বোর্ড, পারটেক্স, প্লাষ্টিক, স্টিল ও রড দ্বারা নিত্য নৈমিত্তিক আসবাবপত্র তৈরী করছেন। আসলে প্রত্যেকটি ব্যবহৃত জিনিসগুলিরই একটা যত্নের প্রয়োজন, বা যত্ন নিতে হয়, নাহলে তা দেখতে নিজেদেরই খারাপ লাগে।

আরও পড়ুন: বিছানার চাদর কি প্রতিদিন বদলানো সঠিক?

অর্থাৎ আপনার বাড়ীতে যদি কাঠের ফার্ণিচার থাকে তাহলে অবশ্যই তা যত্নের প্রয়োজন। কেননা এতে ধুলা, দাগ বা ঔজ্জল্যহীনতায় ধীরে ধীরে তার সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। ঘটা করে খুলে তা কাঠমিস্ত্রির কাছে নিয়ে যাওয়া একটি অসম্ভব ব্যাপার, আবার বাড়িতে কাঠমিস্ত্রিকে ডেকে এনে পালিশ করানো একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং তার সঙ্গে অর্থ খরচ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায়ে নিজেই এইসব কাঠের আসবাবপত্রগুলি ঝকঝকে করতে পারেন।

অলিভ ওয়েল ও ভিনেগার মিশ্রণ করে:

আপনার পরিমাণ মতো অলিভ ওয়েল ও ভিনেগার একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি নরম সুতি কাপড়ে মিশ্রণটি ভিজিয়ে আসবাবপত্র ঘষে মুছতে থাকুন। এতে করে দাগ দূর হতে এবং সেইসাথে আসবাবপত্রে ফিরে আসবে প্রাকৃতিক চকচকে ভাব।

পেট্রোলিয়াম জেলি দ্বারা:

সাবান পানি দিয়ে পরিস্কার করার আগেই কাঠের ওপরে হালকা করে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা উষ্ণ গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে তা মুছে ফেলুন।

চায়ের লিকার দ্বারা:

অর্থাৎ চা পাতা ফুটিয়ে লিকার  তৈরি  করে ঠাণ্ডা  স্থানে  রেখে  তা  ঠান্ডা  করে দিন।  এরপর  সুতি কাপড়

আরও পড়ুন: স্ট্রোক প্রতিরোধে খেতে পারেন যে সমস্ত খাবার

লিকারের পানিতে ডুবিয়ে তা থেকে পানি ঝরিয়ে আসবাবপত্র মুছে ফেলুন এবং পরে অন্য একটি শুকনা কাপড় দিয়ে আবার ফার্ণিচারটি মুছতে হবে।

দাগ দূর করা:

সাধারণত ফার্ণিচারের দাগ দূর করতে লেবুর রস এবং অলিভ ওয়েল একসাথে মিশ্রণ করে তা ফার্নিচারে ব্যবহার করা যেতে পারে।

নকশাজাতীয় আসবাবপত্র:

নকশা জাতীয় আসবাবপত্রগুলি অবশ্যই ব্রাশ ও নরম কাপড় ব্যবহার করে তা পরিস্কার করতে হবে।

গরম জিনিস এড়িয়ে চলা:

সাধারণত কাঠের আসবাবপত্রে কোন ধরণের গরম জিনিস বা ভেজা জাতীয় কোন কিছু রাখা যাবেনা।

কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায়-পরিশেষে:

আসলে কাঠের আসবাবপত্র ব্যবহার করা যেমন স্বাস্থ্যগত উপকারী, ঠিক তেমনি এর সংরক্ষণও প্রয়োজনীয়। কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায় হিসেবে উপরে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। তারপরেও বলা যায়, কাঠের আসবাবপত্রে নিয়মিত তেল ব্যবহার করলে এটি চকচকে ও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে, খেয়াল রাখতে হবে, যেন কাঠের আসবাবপত্র কোন সময়েই রোদে রাখা যাবে না, কাঠ খুবই আর্দ্রতা শোষণকারী, তাই এমন স্থানে কাঠের আসবাবপত্র রাখুন, যেখানে বাতাসের আর্দ্রতজনিত সমস্যা না থাকে। যেমন-বর্ষাকালে বাতাসে সবচেয়ে বেশী আর্দ্রতা বিরাজ করে, সুতরাং চেষ্টা করুন যাতে কোন মতেই আপনার কাঠের আসবাবপত্রে পানি না পড়ে।

আরও পড়ুন: কোল্ড ড্রিংকস কি অতিরিক্ত পান করা ঠিক?

যাইহোক, আজকের কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায় আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত বা পরামর্শ থাকে, তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আশাকরি উপরে বর্ণিত কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায় বিষয়ক আলোচনাটি জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে শেয়ার করতে পারেন এবং সেইসঙ্গে কাঠের আসবাবপত্র ঝকঝকে রাখার উপায় সম্পর্কে আপনার দীর্ঘক্ষণ অংশগ্রহণের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url