কোটি কোটি মাছি ছড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র

উড়োজাহাজ থেকে কোটি কোটি মাছি ছড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র এমনই একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
জীবন্ত প্রাণীর শরীরে বাসা বেঁধে ধীরে ধীরে সেই প্রাণীর মাংস খেয়ে ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করছে এক ধরণের ভয়ংকর ও বিপজ্জনক পোকা। আর এই পোকার আক্রমনের শিকার হচ্ছে গৃহপালিত পশু ও বন্যপ্রাণী।

পোস্ট সূচিপত্র: কোটি কোটি মাছি ছড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র (The United States will release billions of flies)
মাংসখেকো মাছির বৈজ্ঞানিক নাম
কিভাবে ক্ষতি করে এই মাছি
কবে থেকে শুরু হয়
অতীত অনুপ্রেরণা
এই ভয়ংকর মাছিগুলি কতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে
কোটি কোটি মাছি ছড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র-শেষ কথা

মাংসখেকো মাছির বৈজ্ঞানিক নাম:

ভয়ংকর  এই  মাছির  বৈজ্ঞানিক  নাম Cochliomyia  hominivorax   (কোচলিওমিয়া হোমিনিভোরাক্স)।  এই  মাছিটির  লার্ভারও  একটি নাম  আছে- ‘নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওর্ম’।

কিভাবে ক্ষতি করে এই মাছি:

টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এফ. কাফম্যান ব্যাখ্যা করেছেন এইভাবে, সাধারণত পুরুষ মাছির সংস্পর্শে আসার পর সেই স্ত্রী মাছিটি জীবিত কোন পশুর ক্ষতস্থানে বসে এবং সেখানেই স্ত্রী মাছিটি প্রায় ২০০ থেকে ৩০০টি ডিম পাড়ে।

আরও পড়ুন: ভালো থাকার জন্য কী করতে হয়

মজার বিষয় যে, এই ডিমগুলি মাত্র ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফুটে লার্ভা বের হয়। পরবর্তীতে এই লার্ভাগুলো খুবই দ্রুত ওই জীবিত প্রাণীটির মাংস খাওয়া শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তারা পরিপূর্ণ মাছিতে পরিণত হয়ে যায়। তিনি বলেন, এই দ্রুত বংশ বিস্তারের কারণে নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওর্ম ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। কাফম্যান বলেন, এই লার্ভা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর টিকা আবিস্কার হয়নি। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে তারা আক্রান্ত পশুগুলোকে ঘন ঘন পরিস্কার করছেন এবং ক্ষতস্থানে অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ঢেকে রাখছেন।

কবে থেকে শুরু হয়:

২০২৩ সালের শুরুতে দিকে এই লার্ভা মধ্য আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তা পানামা, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা, বেলিজ ও এল সালভাদরে পর্যন্ত পোঁছে যায়। এ ছাড়াও গত নভেম্বর মাসে এই লার্ভা মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলেও পৌঁছে যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও সকল ধরণের পশু এবং বিশেষ করে বিভিন্ন গবাদি পশু পালন করে থাকে। তাই তারা তাদের সীমান্ত এলাকাগুলিতে গবাদিপশু, ঘোড়া ও বাইসন বাণিজ্যে ব্যবহৃত হয়, এমন ধরণের বেশ কিছু বন্দর বন্ধ করে দিয়েছেন।

অতীত অনুপ্রেরণা:

ষাট ও সত্তরের দশকে যুক্তরাষ্ট্র পোকা দিয়ে পোকা দমন করেছিল। সেই সময় তারা প্রজননে অক্ষম পুরুষ মাছি চাষ করে এবং তা উড়োজাহাজ থেকে স্ত্রী মাছির সঙ্গে মিলনের জন্য ছেড়ে দেন।

আরও পড়ুন: আপনার সঙ্গী মিথ্যা বলছে কি না? তা বুঝবেন কিভাবে

এক্ষেত্রে হিসাব বরাবর। যেহেতু পুরুষ মাছিগুলো প্রজননে অক্ষম ছিল, ফলে স্ত্রী মাছিরা আর ডিম পাড়তে পারেনি এবং এরই ফলে মাছির বংশবিস্তারও রোধ হয়েছিল প্রাকৃতিক নিয়মেই।

এই ভয়ংকর মাছিগুলি কতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে:

সাধারণত স্ত্রী মাছিগুলি প্রায় ২০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে এবং এই সময়ের মধ্যেই তারা পুরুষ মাছির সঙ্গে মাত্র একবার মিলিত হয়।

কোটি কোটি মাছি ছড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র-শেষ কথা:

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মাছি তৈরির জন্য স্থানও নির্বাচন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে উৎপাদন থেকে শুরু করে মাছি অবমুক্ত করা পর্যন্ত ৮৫ লাখ ডলার খরচ হতে পারে, তবে মার্কিন আইন প্রণেতাদের মতে, এর খরচ কমবেশি ৩০ কোটি ডলার হতে পারে। অর্থাৎ তাদের এই পরিকল্পনা সফল হলে, প্রায় কয়েকশো কোটি ডলারের পশুপালন শিল্প রক্ষা পাবে। যাইহোক আজকের আর্টিকেলে কোটি কোটি মাছি ছড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন: বর্ষাকালে যেসব সবজি খাওয়া যেতে পারে

আসলে উন্নত দেশগুলিতে পশুপালন করার জন্য বিশাল বিশাল খামার এবং পশুকে সার্বক্ষণিক সেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসক পর্যন্ত নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। কারণ তারা মনে করেন, যেহেতু পশুটাকে যত্ন করলে তার যথাযথ রিটার্ণ সে দেবে। পরিশেষে কোটি কোটি মাছি ছড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ক আর্টিকেলে দীর্ঘক্ষণ যুক্ত থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আজকের কোটি কোটি মাছি ছড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য/পরামর্শ প্রদান করতে চান তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে তা জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Mithu Sarker
Mithu Sarker
আমি মিঠু সরকার, দুই বছর ধরে ডিজিটাল মার্কেটিং ও এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে আসছি। ব্লগ পোস্ট, ওয়েব কনটেন্ট ও মার্কেটিং রাইটিংয়ে আমার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। মানসম্মত ও পাঠকবান্ধব লেখার মাধ্যমে অনলাইন সফলতা গড়াই আমার লক্ষ্য।