স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায়

অনেক সময় স্মার্টফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হলে গেলে ফোনটি হ্যাং করে। সেক্ষেত্রে স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায় তা জেনে নিন।
আসলে অনেক সময় স্মার্টফোনে ছবি তুলতে তুলতে ফোনের স্টোরেজ ফুল হয়ে যায়। তখন ফোনটি আর কাজ করতে চাইনা বা হ্যাং হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনার স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায় তার কিছু কৌশল নিম্নে বর্ণিত হলো।

পোস্ট সূচিপত্র: স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায় (How to increase photo gallery space on Smartphone)
ভূমিকা
ফটো স্টোরেজ সফটওয়্যার
সেটিংসে পরিবর্তন
অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো গুছিয়ে রাখুন
ফেবারিট অপশন ব্যবহার
একটি নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ
কম রেজ্যুলেশনে ছবি তোলা
স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায়-পরিশেষে

ভূমিকা:

আমরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। আর নতুন ফোন কেনার আনন্দে এর সেটিংসগুলি বা পুরো আয়ত্ত করতে আমাদের কিন্তু বেশ কিছু সময় চলেই যায়। আর এই সময়ের মধ্যে সবথেকে আমরা যেটা করে থাকি তা ছবি, সেলফি তোলা ইত্যাদি। আবার এর সাথে যোগ হয় বিভিন্ন ভিডিও। সবমিলিয়েই প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় সব ছবি ও ভিডিওতে ফোনের স্টোরেজ শেষ হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে ফোন হ্যাং করে।

আরও পড়ুন: iPhone 17 Air ফোনে যা যা থাকছে

সুতরাং স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায় বা কিভাবে অপ্রয়োজনীয় ছবিগুলি ডিলিট করা অথবা ফোনে তোলা ছবি ও ভিডিওগুলো একটি নিরাপদ স্থানে রাখা ইত্যাদি বিষয়ে আজকে জানার চেষ্টা করবো।

ফটো স্টোরেজ সফটওয়্যার:

আপনার ফোনের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও ভিডিও গুলো নিরাপদে গুছিয়ে রাখতে পারেন স্টোরেজ সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে। যদি আপনার আইফোন হয় তাহলে অ্যাপল ফটো আর যদি আপনার হ্যান্ডসেট অ্যান্ড্রয়েড হয় তাহলে গুগল ফটো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরণের স্টোরেজ ডিভাইসে অ্যাপলের ক্ষেত্রে ৫ জিবি আইক্লাউড স্পেস এবং গুগলের জন্য ১৫ জিবি স্পেস বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন। যদি এরও বেশি জায়গা আপনার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা বাড়তি অর্থ দিয়ে ক্রয় করতে হবে। অর্থাৎ এই ধরণের স্টোরেজ ডিভাইসগুলো নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। আপনি ইচ্ছে করলে আপনার স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায় হিসেবে এটা ব্যবহার করতে পারেন।

সেটিংসে পরিবর্তন:

আপনার ফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন-ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনষ্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের অপ্রয়োজনীয় ছবি, অ্যাপস, বিভিন্ন তথ্য ডাউনলোড হতে থাকে। এতে করে ফোনের স্টোরেজের স্পেস কমতে থাকে।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোনের ব্যাটারি কিভাবে যত্ন নিতে হয়

তাই এ ধরণের সমস্যাগুলো থেকে যদি অব্যাহতি পেতে চান তাহলে, ফোনের সেটিংস-এ গিয়ে ‘অটো-ডাউনলোড’ অপশনটি বদ্ধ করে দিন। এরপর সম্ভব হলে অপ্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও বা তথ্যগুলো মুছে ফেলুন।

অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো গুছিয়ে রাখুন:

অর্থাৎ প্রতিনিয়ত প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে অথবা তথ্যের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক ছবি, ফাইল, ভিডিও মোবাইলে আপলোড হতে থাকে, যা আমরা খেয়াল করিনা। তাই এইসব ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্য বা ছবিগুলি একটি নির্দিষ্ট অ্যালবাম তৈরি রাখতে পারলে পরবর্তীতে আপনি এর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুব সহজেই ডিলিট করতে পারেন।

ফেবারিট অপশন ব্যবহার:

আপনার স্মার্টফোনটি আইফোন হোক বা অ্যান্ড্রয়েড তা আইক্লাউড স্পেস ব্যবহারকরে ফেবারিট অপশনের সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে যে সমস্ত ছবিগুলি আপনার কাছে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সেই ছবিগুলির ক্ষেত্রে এই ফেবারিট অপশন ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রয়োজন শেষ হলে তা অনায়াসে ডিলিট করে দিতে পারেন।

একটি নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ:

অর্থাৎ সপ্তাহে অথবা মাসে যে কোন একটা নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করুন মোবাইলের জন্য, শুধুমাত্র সেদিন আপনার মোবাইল থেকে অপ্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি ডিলিট করে দিবেন। এতে করে আপনার ফোনের উপর বাড়তি চাপ কমবে এবং ফোন হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যাবে।

কম রেজ্যুলেশনে ছবি তোলা:

আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরায় রেজ্যুলেশন বাছাই করার সুবিধা আছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি কম রেজ্যুলেশনে ছবি তুলতে পারেন, তাহলে আপনার মোবাইলে অনেক ছবি রাখতে পারবেন এবং সেইসাথে ফোনের জায়গারও সংকুলান ঘটবে।

স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায়-পরিশেষে:

আসলে আমরা কৌতুহল বশতঃ, না জেনে-বুঝে, শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছা বা খামখেয়ালী বশতঃ অনেক কাজই করে ফেলি। মূলত আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা বা যুগের সাথে তাল মেলাতে মোবাইল ফোনের অবশ্যই দরকার। কিন্তু অনেক চড়ামুল্যে পছন্দের স্মার্টফোনটি কিনে কিছুদিন পর দেখা যায় সেটা আর আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলছেনা, মাঝে-মধ্যে হ্যাং হচ্ছে বা ধীরে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমরা হয় যেখানে মোবাইল ফোনটি ক্রয় করেছি তাদের কাছে যাই আর তা না হলে মোবাইল মেরামতের দোকানে যাই ঠিক করতে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আছে যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন অনায়াসে। তাই আপনার পছন্দের স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায় তা উপরোক্ত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন: মাইক্রোসফট সব উইন্ডোজে এআই যুক্ত করছে

আশা করি আজকের স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায় সংক্রান্ত আর্টিকেলে মোবাইল ফোন হ্যাং না করার কিছু বিষয়ের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত বিষয়ে আপনার যদি কোন পরামর্শ/মন্তব্য থাকে, তাহলে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। পরিশেষে এতোক্ষণ স্মার্টফোনে ফটো গ্যালারি স্পেস কিভাবে বাড়ানো যায় বিষয়ক আলোচনায় আপনার উপস্থিতির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ‍ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url