ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায়

সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম প্লাটফর্ম হলো ফেসবুক, যা কম-বেশী সকলেই ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় তার কৌশলগুলো জানতে হবে।
আসলে একটা ফেসবুক পেজ খোলা যতটা সহজ, কিন্তু সেটিকে জনপ্রিয় বা আকর্ষণীয় করে তোলা অত্যন্ত পরিশ্রম ও কৌশলের বিষয়। কারণ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কেউ ফলোয়ার বাড়ায় আবার কেউ কেউ আয়-ইনকামের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকে। তাই আজকে ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় সে বিষয়ে জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্র: ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় (How to make a Facebook Page popular)
প্রোফাইল সাজানো
আকর্ষণীয় ও সম্পর্কযুক্ত কন্টেন্ট তৈরী করুন
নিয়মানুযায়ী পোস্ট করা
পোস্টের পরিমাপ
ক্রস পোস্টিং করা
ভুল তথ্য শেয়ার না করা
ইনস্ট্যান্ট রিপ্লাই দেয়া
বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ
লাইভ ভিডিও
কল-টু-অ্যাকশন
ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায়-শেষ কথা

প্রোফাইল সাজানো:

ফেসবুক পেজ খোলার পর প্রথম কাজ হচ্ছে প্রোফাইল সাজানো। অর্থাৎ আপনার ফেসবুজ পেজের নামকরণটা এমন হতে হবে, যাতে সবাই খুঁজে পায়। এক্ষেত্রে মানুষজন গুগলে বা ফেসবুকে কী লিখে সার্চ করছে সেটি মাথায় রেখে ফেসবুক পেজের নাম ও ইউআরএল ঠিক করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, যেমন-আপনি কোন একটি ব্র্যান্ড বা কোম্পানী অথবা থিমেটিক কোন বিষয় নিয়ে ফেসবুক পেজ খুলতে চাচ্ছেন, তাহলে সেই ধরণের নাম চয়েস করুন।

আরও পড়ুন: ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার কৌশল

এ ছাড়াও ফেসবুক পেজের জন্য ডেসক্রিপশন, ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ অন্যান্য তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিন এবং সর্বোপরি একটি আকর্ষণীয় কাভার ফটো বা ভিডিও ব্যবহার করতে পারেন এবং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো পিন করে রাখুন।

আকর্ষণীয় ও সম্পর্কযুক্ত কন্টেন্ট তৈরী করুন:

লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আপনার পেজের বিষয়বস্তু ভিউয়ারের নিকট গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে। দর্শকের আগ্রহের বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরী করুন। যেমন-ছবি, ভিডিও, কোন গল্প বা লাইভ সেশন ইত্যাদি। তবে আপনার পেজের কন্টেন্ট যেন ভিউয়ারের নিকট শিক্ষামূলক বা বিনোদনমূলক হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

নিয়মানুযায়ী পোস্ট করা:

ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় এর জন্য নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। অর্থাৎ আপনার পেজের টার্গেট অডিয়েন্স কখন সবচেয়ে বেশী অ্যাকটিভ থাকে তা নোটিস করে সেই সময়েই পোস্ট করতে হবে।

পোস্টের পরিমাপ:

ফেসবুকে পোস্ট করতে হলে অবশ্যই তা ৪০ থেকে ৮০ অক্ষরের (ইংরেজিতে) মধ্যে রাখতে হবে। অর্থাৎ সবসময় চেষ্টা করবেন, অল্প কথায় যাতে বেশী দিতে দেয়া যায়।

ক্রস পোস্টিং করা:

অর্থাৎ একই সাথে একাধিক জায়গায় পোস্ট করা। সাধারণত ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য কোন কন্টেন্ট তৈরী করে তা যেমন ফেসবুকে পোস্ট করবেন, তেমনি একই সাথে ইনস্টাগ্রাম, টুইটার (এক্স) বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও তা পোস্ট করতে পারলে ভিউয়ার রিচ হয়।

ভুল তথ্য শেয়ার না করা:

ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী কন্টেন্ট পোস্ট করা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কেননা, যদি ফেসবুক দেখে যে আপনি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, হুবহু কপি-পেস্ট বা নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়, এমন কন্টেন্ট তৈরী করে তা আপনার ফেসবুক পেজে পাবলিশ করছেন।

আরও পড়ুন: হ্যাকিং কি? হ্যাকিং করে কীভাবে? হ্যাকাররা ওয়েবসাইট কেন হ্যাক করে

সেক্ষেত্রে ফেসবুক আপনার পেজের জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট পোস্ট দিতে হবে।

ইনস্ট্যান্ট রিপ্লাই দেয়া:

ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পেজে ইনবক্স মেসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গেই তার রিপ্লাই দেয়ার জন্য অটো-রিপ্লাই ফিচার ব্যবহার করতে হবে। কারণ এতে করে আপনার পেজের প্রতি ভিউয়ারদের আস্থা বা বিশ্বাস বাড়বে।

বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ:

সাধারণত ফেসবুক পেজে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলি ভিউয়ারদের নিকট বিরক্তির কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফেসবুকের অ্যাড প্রেফারেন্স সেকশন ব্যবহার করে পছন্দসই বিজ্ঞাপন নির্বাচন করে দিতে পারেন। এতে করে ভিউয়ারদের পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যায়।

লাইভ ভিডিও:

যে কোন ভিডিও বা পোস্টের চেয়ে অনেক বেশি রিচ পাওয়া যায় ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে। তাই অবশ্যই আপনার ফেসবুক পেজের সঙ্গে মানানসই কোন আইডিয়া বা থিম পেলে সেটার লাইভ করার চেষ্টা করতে পারেন।

কল-টু-অ্যাকশন:

আপনার ফেসবুক পেজটি যদি বিজনেস সংক্রান্ত হয়, তাহলে অবশ্যই ওপরের দিকের বারে উপযুক্ত বাটন রাখতে হবে। কারণ এটা করে সুবিধা হবে যে, কারও কাছে সেটা সেন্ড মেসেজ, আবার কারও বেলায় তা সাইন-আপ। আবার আপনার ফেসবুক পেজের শপ সেকশন যখন অনেকগুলো থাকবে, তখন অবশ্যই ‘শপ নাও’ বাটনটি যুক্ত করতে পারেন।

ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায়-শেষ কথা:

আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন যে, ফেসবুক ব্যবহার করে কিছু করবেন, তাহলে অবশ্যই এটি জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন হলো ধৈর্য্য, কঠোর শ্রম এবং নিয়মিত লেগে থাকা। তবে এটা ঠিক যে, উপরোক্ত নির্দেশাবলীগুলি যদি আপনি সঠিকভাবে বুঝতে বা অনুধাবন করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। সেই কারণে ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় আপনাকে বুঝতে ও অনুশীলন করতে হবে।

আরও পড়ুন: বিরল ধরণের অ্যালার্জি অ্যাফা-গ্যাল সিনড্রোম

আসলে ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায়ে এর ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, যেমন-মানসম্মত কন্টেন্ট নিয়মিত পোস্ট করা, ভিউয়ার/ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, তথ্যবহুল বিষয় পোস্ট করা ইত্যাদি বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় বিষয়ক আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য/পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। পরিশেষে ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায়, নিজের প্রোফাইল থেকে অন্যের পেজের ভালো পোস্টগুলোতে লাইক ও কমেন্ট করা, ফলোয়ারদের জন্য আলাদা করে একটা গ্রুপ তৈরী করা ইত্যাদি। সবশেষে ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আপনার উপস্থিতির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url