বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ

উত্তরবঙ্গের প্রাচীন পুন্ড্রনগীর হিসেবে খ্যাত বগুড়া জেলায় রয়েছে নানাবিধ স্থাপনা ও বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। আজকে আমরা বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ-এর বিষয়ে জানতে চলেছি।
মূলত বগুড়া জেলায় অনেক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন রয়েছে। তারই আলোকে আজকের আয়োজনে বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ জানতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য।

পোস্ট সূচিপত্র: বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ

     (History and Tradition of Bogra District- Tourist Attractions in Bogra District)

বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য:

১২৮৭-১২৯১ খ্রীষ্টাব্দে বাংলার স্বাধীন সুলতান নাসিরউদ্দিন বগরা খানের নামানুসারে বগুড়া জেলার নামকরণ হয় বগড়া। পরবর্তীতে বিভিন্ন আবর্তনে বগুড়া নামান্তরে রূপান্তরিত হয় বগুড়া। এক সময়ে প্রাচীন জনপদ গড়ে উঠেছিল কিন্তু বগুড়াতেই। তবে খ্রীষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকে বগুড়া জেলাটি মৌর্য শাসনাধীন ছিল। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে গুপ্তযুগ, রাজা শশাঙ্ক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল, মদন ও সেনরাজ এ অঞ্চলে রাজ্য শাসন করে থাকে। বগুড়া জেলা ১২টি উপজেলা, ১টি সিটি কর্পোরেশন এবং ১২টি পৌরসভা ও ১১১টি ইউনিয়ন গঠিত।

আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামের যত দর্শনীয় স্থান ও নামসমূহ

ঐতিহ্যগত স্থান হিসেবে বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ হচ্ছে গোকুল মেধ, ভাসু বিহার, শীলাদেবীর ঘাট, গোবিন্দ ভিটা, রাজা পরশুমামের বাড়ি, জীয়ত কুণ্ড, মহাস্থানগড় যাদুঘর, যোগীর ভবন, বিহার, ভীমের জাঙ্গাল, খেরুয়া মসজিদ, নবাব বাড়ি, শাহ সুলতান বলখি (রহ) এর মাজার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
অপরদিকে বিনোদন, ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরির জন্য যেতে পারেন-শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, বিজয়াঙ্গন যাদুঘর, বগুড়া সেনানিবাস, শাজাহানপুর, বাংলাদেশ মশলা গবেষণা কেন্দ্র, ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক, পুলিশ প্লাজা (শপিং মল), মম-ইন ইকো পার্ক, পর্যটন মোটেল, রানার প্লাজা (শপিং মল), মধুবন সিনেপ্লেক্স, শিল্পকলা একাডেমী ইত্যাদি।

বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ:

মহাস্থানগড়ের দর্শনীয় স্থান:

বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পর্যটন কেন্দ্র মহাস্থানগড়। আজ থেকে প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বে নির্মাণকৃত বগুড়ার পুন্ড্রনগর হিসেবে খ্যাত মহাস্থানগড়। তৎকালীন সময়ে মাউর‌্যা এবং গুপ্ত রাজারা মহাস্থানগড়কে প্রাদেশিক রাজধানী হিসাবে ব্যবহার করতেন। পরবর্তীতে পাল রাজারা মহাস্থানগড় বা পুন্ড্রনগরকে রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করেন। বুচানন হামিল্টন ১৮০৮ সালে মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করেন এবং ১৯৩১ সালে ছয় মাইল আয়তনের মহাস্থানগড়কে পুন্ড্রনগরী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।মহাস্থানগড়ের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে বৈরাগীর ভিটা, খোদারাপাথার ভিটা, কালীদহ সাগর, পদ্মাদেবী বাসভবন, শীলাদেবীর ঘাট, জিউৎকুন্ড কুপ, ভাসু বিহার, মানকালির দ্বীপে ১৫ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের অবশিষ্টাংশ, গোবিন্দভিটা, তোতারাম পণ্ডিতের ধাপ, গোকুল মেধ বা বেহুলার বাসর ঘর ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত দর্শনীয় স্থানগুলো ছাড়াও বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ এর মধ্যে আরও যেসব জায়গা পরিদর্শন করতে পারেন, তা হলো জগির ভবন, ভীমের জঙ্গল, তেঘর, রোজাকপুর, খুল্লানার ধাপ, ইস্কান্দারের ধাপ, মাহী সওয়ার মাজার শরীফ, মাথুরা, পরশুরামের প্রাসাদ, মহাস্থানগড় জাদুঘর ইত্যাদি। 

পারুল বৃক্ষ

বগুড়া জেলার সরকারি নাজির আখতার কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিরল প্রজাতির এই পারুল গাছটি। প্রায় ৪০-৫০ ফুট উঁচু এবং গুল্ম জাতীয় গাছটিকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও বৃক্ষ গবেষকগণ বিরল বলে উল্লেখ করেছেন। 

প্রেম যমুনার ঘাট

নদী-বিধৌত সারিয়াকান্দি উপজেলাকে যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষার্থে নির্মাণ করা হয় এই গ্রোয়েন বাঁধ। এই বাঁধটিই পরবর্তীতে হয়ে ওঠে একটি ছোট্টখাট্ট পর্যটন স্পট। এই বাধে গিয়ে নদীর সৌন্দর্য উপভোগসহ জেলের মাছ ধরা, ছোট-বড় ইঞ্জিন চালিত বা ইঞ্জিন বিহীন নৌকা, স্টিমার, স্পিড বোট দেখতে পাওয়া যায় প্রয়োজনে তাতে করে নদীতে ভ্রমণ করা, এখানে অবস্থিত খাবার হোটেলগুলোতে টাটকা মাছসহ বিভিন্ন প্রকারের সুস্বাদু খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন। 

খেরুয়া মসজিদ

বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় প্রায় সাড়ে চারশ বছরে ধরে টিকে থাকা খেরুয়া মসজিদ। উপরে ৩টি গোলাকার গম্বুজ এবং চারটি মিনারের উপর দাঁড়িয়ে ৩.৭১ মিটার ব্যাসার্ধ এই মসজিদটি মোগল ও সুলতানি স্থাপত্যের সমন্বয়ে টেরাকোটা ও পোড়ামাটির কারুকার্য সমৃদ্ধ। 

সাইবানি বিবির দরগা

বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নে অবস্থিত সাইবানি বিবির দরগা। ধারণা করা হয়, খ্রীষ্টপূর্ব ১৬০০ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দরগাটির চারিদিকে ঘন সবুজ অভয়ারণ্য যা মোঘল রীতির একটি চমৎকার নিদর্শন। টেরাকোটার কারুকাজ সমৃদ্ধ দরগাটি দেখতে অনেকটা শিয়া ধর্মাবলম্বীদের ইমামবাড়ার মতো।

রানী ভবানীর বাপের বাড়ি

বগুড়া জেলার সান্তাহার উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামে রানী ভবানী জন্মগ্রহণ করেন। ইতিহাস হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ছাতিয়ান গ্রামের জমিদার ছিলেন রানী ভবানীর পিতা আতারাম চৌধুরী। রানী ভবানীর ১০ বছর বয়সে নাটোরের রাজকুমার রামকান্ডের সাথে রানী ভবানীর বিয়ের সম্বন্ধ এলে ভবানী ৩টি শর্তে বিয়ে করতে রাজি হন। রানী ভবানীর শর্তগুলো ছিল এমন-১. বিয়ে হয়ে যাওয়ার এক বছর পর্যন্ত তিনি তার বাবার বাড়ীতেই থাকবেন। ২. এই এক বছরে প্রতিদিন একটি করে পুকুর খনন করে দিতে হবে, এবং  ৩. ছাতিয়ান গ্রাম থেকে নাটোর পর্যন্ত লাল সালুর কাপড় দিয়ে ছাউনীযুক্ত নতুন রাস্তা তৈরী করতে হবে এবং সেইসাথে এলাকার প্রজাদের ভূমিদান করে স্বাবলম্বী করতে হবে।

গোকুল মেধ

বেহুলা লখিন্দরের কাহিনী আমাদের অনেকেরই জানা। মূলত গোকুল মেধ জনসাধারণের কাছে বেহুলার বাসরঘর হিসাবে পরিচিত। ১৯৩৪-৩৬ সালে পর্যন্ত এন জি মজুমদার কর্তৃক খননকার্য চালানোর ফলে এখানে একটি মন্দিরের ভিত্তি উন্মোচিত হয়। বাংলায় গুপ্তযুগের শাসনামলের অর্থাৎ ছয়-সাত শতকের কিছু পোড়ামাটির ফলক পাওয়া যায়, যা সেন যুগে এই গোকুল মেধে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। খ্রীষ্টপূর্ব ৮০৯ থেকে ৮৪৭ সময়ে দেবপাল কর্তৃক নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। মূল স্তুপের পশ্চিমার্ধে প্রচলিতে বাসরঘরের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে।

বিহার ধাপ

এই স্থানটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ধারণা করা হয় এই বিহারটি দ্বিতীয় নির্মাণ যুগের নিদর্শন এবং এগারো বা বার শতকের কোন সময়ে এই প্রত্নস্থলের পতন ঘটে। উল্লেখ্য যে, চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর বিবরণে মাটির নিচ থেকে আবিস্কৃত উঁচু টিলা আকৃতির এই বিহার ধাপের উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে এখানে খনন কার্য্য পরিচালিত হয়। যার ফলে প্রাথমিকভাবে দুইটি বৌদ্ধ বিহার ও একটি মন্দিরের অবকাঠামো আংশিক ভাবে উদ্ধার করা হয়। বলাবাহুল্য বিহার ধাপ থেকে সুলতান সিকান্দার শাহের আমলের রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধমূর্তি, কাঁচের পুতি, ৬০টি পোড়ামাটির ফলকচিত্র, পোড়া মাটির সিলমোহর, ধূপধানি, পিরিচ, মাটির পাত্র এবং নকশা অঙ্কিত ইট উল্লেখযোগ্য।উন্মোচিত বিহারের মাঝে রয়েছে চারপাশে ৩৭টি ভিক্ষু কক্ষ বিশিষ্ট উন্মুক্ত আঙ্গিনা, পশ্চিম দিকে বাইরে দুইটি প্রহরী কক্ষ বিশিষ্ট প্রবেশ তোরণ এবং পূর্ব দিকে মূর্তি রাখার বেদি রয়েছে।

ঐতিহাসিক যোগীর ভবনের মন্দির

খ্রীষ্টপূর্ব ৮৮৪ অব্দে নির্মিত এই যোগীর ভবনটির পুরোটাই প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত এবং একটি দেওয়ার দিয়ে দুই ভাগ বিভক্ত। বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নে প্রায় ৮০ একর জায়গার উপর কয়েকটি প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা সম্বলিত যোগীর ভবন। উল্লেখ্য, যোগীর ভবনের প্রাঙ্গণে রয়েছে ১টি আশ্রম, ৪টি মন্দির, একটি ইদারা, ধর্মটঙ্গী, কানচ কূপ ও একটি অগ্নিকুণ্ড ঘর রয়েছে। বিশেষ করে সর্বমঙ্গলা, দুর্গা, কালভৈরবী ও গোরক্ষনাথ নামের ৪টি মন্দিরের মধ্যে ইট ও পোড়ামাটির ফলক দ্বারা অলংকৃত এবং ভিন্নধর্মী নকশা সম্বলিত সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি। কথিত আছে, বেহুলার মৃত স্বামী লখিন্দর এই কানচ কূপের জল সেবনের মাধ্যমে জীবন ফিরে পেয়েছিলেন।

বগুড়া জেলা ঐতিহ্যবাহী উৎসবসমূহ:

পোড়াদহ মেলা

লোকমুখের কথন অনুযায়ী প্রায় সাড়ে চারশত বছর পূর্বে থেকে বগুড়া ইছামতি নদীর তীরে পোড়াদহ নামক স্থানে সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষ্যে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরই মাঘ মাসের শেষ দিনের পরবর্তী বুধবারে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলার মূল আকর্ষণ হচ্ছে বড় মাছ আর বড় মিষ্টি। যদিও মেলাটি একদিনের জন্য হলেও তা চলে প্রায় তিনদিন ব্যাপী।

আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর যাবতীয় তথ্য

মেলায় নারীদের বিভিন্ন প্রসাধন, ছোটদের খেলনা, কাঠ, স্টিলের আসবাবপত্রসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র। তবে এই মেলার একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হচ্ছে বুধবার অর্থাৎ মূল মেলার পরদিন বৃহস্পতিবার ঠিক একই স্থানে বসে বউ মেলা। যেহেতু মূল মেলায় অনেক বেশী ভিড়ের কারণে নারীরা প্রবেশ করতে পারেনা, তাই শুধুমাত্র তাদের জন্য এই বউ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে যেখানে শুধু নারীরাই প্রবেশ করতে পারে ও কেনাকাটাও করে থাকে।

কলসদহ ঐতিহাসিক ঘোড় দৌড় খেলা ও পৌষ মেলা

এই ঐতিহাসিক মেলাটি বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম কলসদহে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ডিসেম্বরের শেষে এবং জানুয়ারির শুরুসহ মোট সাতদিন ব্যাপী তা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য লোকজনের সমন্বয়ে ২০০৯ সালে এই গ্রামে ঘোড় দৌড় ও পৌষ মেলার আয়োজন করেছিলেন, যা পরবর্তীতে একটি আনন্দ উদ্দীপনার অংশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে যুবকগণ তাদের ঘোড়া নিয়ে আসেন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে। এখানে একটি বিষয় হলো প্রতিযোগিতারা কিন্তু পুরস্কার জেতার জন্যই অংশগ্রহণ করেন না, তারা নিজেদের গর্ব, সম্মান ও পরিচিতি অর্জনের জন্যও অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হওয়ার আশায়।

খারুয়া মেলা

বগুড়া জেলা হতে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পূর্বদিকে খারুয়াদহ নামক স্থানে এই মেলা বসার কারণে এর নামকরণ হয়েছে খারুয়া মেলা। কথিত আছে যে, এই মেলাটি প্রায় ৩ শত বছর পূর্বে শুরু হয়েছে। প্রতি বছরই ফালগুন মাসের প্রথম বুধবার শাজাহানপুরের জালশুকা গ্রামের খারুয়া দহে অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা।

শিবের মেলা

বগুড়া জেলার গাংনগরে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এবং প্রায় ৪০০ ধরে চলে আসা শিবের মেলাটি মেলাটি। জৈষ্ঠ্য মাসের দ্বিতীয় রবিবার এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, যা প্রায় স্থানীয় এবং দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকদের নিকট অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মজাদার।

বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:

বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ এর মধ্যে এই জেলায় জন্মগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলো: জিয়াউর রহমান (প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ); প্রফুল্ল চাকী (ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা); মহাদেব সাহা (বিশিষ্ট সাহিত্যিক); রোমেনা আফাজ (বিশিষ্ট সাহিত্যিক); মুশফিকুর রহিম (জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়); আব্দুল মান্নান (সংসদ সদস্য); আবু সাইয়ীদ (চলচ্চিত্র পরিচালক); গাজীউল আলম (ভাষা সৈনিক); মাহমুদুর রহমান মান্না (রাজনীতিবিদ); মমতাজুর রহমান তরফদার (ঐতিহাসিক); মনোজ দাশগুপ্ত (কবি ও লেখক); মাহফুজুর রহমান (চেয়ারম্যান, এটিএন বাংলা); মোহাম্মদ আলী (পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী); তরুণ মজুমদার (চিত্র পরিচালক); হোসনে আরা বেগম (নির্বাহী পরিচালক, টিএমএসএস) সহ আরও অনেক ব্যক্তিত্ব। 

বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য-বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ-শেষ কথা:

এক কথায় বগড়া জেলা হলো ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ একটি স্থান। বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ এর সম্বন্ধে বলতে গেলে তা মোঘল আমল থেকে সুলতানী আমল বা মৌর্য যুগ, পাল যুগ, গুপ্ত যুগ, সেন বংশ কর্তৃক পরস্পরায় সবারই শাসনাধীন ছিল এই বগুড়া জেলাটি। বলা চলে সেই সময়ের বিভিন্ন স্থাপত্য আজও সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই বগুড়া জেলাতেই। বর্তমানে উদ্যোগ ও সংস্করণের অভাবে ভগ্নপ্রায় অনেক স্থাপত্যই, তদুপরি তা আমাদের এই উপমহাদেশের এক বিশাল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক।

আরও পড়ুন: রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান কোনগুলো

আজকের আর্টিকেল বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ বর্ণনাতে আশাকরি আপনারা বগুড়া জেলার বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্যসহ অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, যা আপনাদের জ্ঞানের পরিসরকে আরও বৃদ্ধি ঘটাবে। সুতরাং বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ বিষয়ক তথ্যে দীর্ঘক্ষণ সংযুক্ত থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং যদি বর্ণিত আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য/জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে তা আমাদের কমেন্টস বক্সে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url