নাটোর জেলার ইতিহাস - নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান
কবি জীবনান্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’ এর আবর্তকে ঘিরেই আজকে নাটোর জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয়গুলিরি বিষয়ে জানাটা আবশ্যক। আজকের আর্টিকেলে নাটোর জেলার ইতিহাস এবং নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান তা আমরা জানবো।
মূলত নাটোর জেলার ইতিহাস - নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে যেমন-উত্তরা গণভবন, নাটোর রাজবাড়ী, দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি, চলন বিল, চলনবিল জাদুঘর, হালতি বিল, বুধপাড়া কালীমন্দির অন্যতম। চলুন, নিম্নের বর্ণনা থেকে আমরা নাটোর জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
পোস্ট সূচিপত্র:নাটোর জেলার ইতিহাস - নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান
(History of Natore district - What are the tourist attractions in Natore District?)
নাটোর জেলার ইতিহাস
১৭০৬ খ্রিষ্টাব্দে মতান্তরে ১৭১০ খ্রিষ্টাব্দে নাটোর রাজবাড়িটি নির্মিত হয় এবং এই রাজবাড়ির প্রথম রাজা হোন রামজীবন। তিনি ১৭৩৪ খ্রিষ্টাব্দ অর্থাৎ মৃত্যুবরণ আগ পর্যন্ত রাজা হিসেবেই শাসনকার্য পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে রাজা রামজীবনের দত্তকপুত্র হিসেবে স্বীকৃত রামকান্ত নাটোরের রাজা হন। বলাবাহুল্য রাজা রামজীবনের জীবিতাবস্থায় ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া জেলার ছাতিনা গ্রামে বসবাসকারী জমিদার আতারাম চৌধুরীর কন্যা রানী ভবানীর সাথে রামকান্তের বিবাহ সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য যে, রামকান্তের সাথে বিবাহ সম্বন্ধ এলে রানী ভবানী ৩টি শর্তে বিয়ে করতে রাজি হন।
আরও পড়ুন: বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
১ম শর্ত-বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর এক বছর তিনি তার বাবার বাড়ীতেই থাকবেন। ২নং শর্ত-এই এক বছরে প্রতিদিন ১টি করে পুকুর খনন করে দিতে হবে এবং ৩নং অর্থাৎ সর্বশেষ শর্ত হলো ছাতিয়ান গ্রাম থেকে নাটোর পর্যন্ত সাল সালুর কাপড় দিয়ে ছাউনী যুক্ত নতুন রাস্তা তৈরী এবং সেইসাথে এলাকার প্রজাদের ভূমিদান করে স্বাবলম্বী করে তোলা। এরপর ১৭৪৮ খ্রিষ্টাব্দে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পর নবাব আলীবর্দী খাঁ রানী ভবানীর ওপর সমস্ত জমিদারীর ভার অর্পণ করেন। তৎকালীন সময়ে রানী ভবানীর রাজত্বকালে নাটোরের জমিদারি বিস্তৃতি লাভ করে, যেমন- বাংলাদেশের মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, বগুড়া, যশোর ও রংপুর এবং ভারতের মধ্যে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের মুশিয়দাবাদ, বীরভুম ও মালদহ জেলা।
নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান:
নাটোর রাজবাড়ী
নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে নাটোরের রাজবাড়িটি অন্যতম। ১৭০৬ হতে ১৭১০ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয় নাটোর রাজবাড়িটি। ১২০ একর আয়তনের রাজশাহীতে রয়েছে বড় ৮টি ভবন, ২টি গভীর পুকুর, ৫টি ছোট পুকুর। রাজবাড়িটি দুই স্তরের পরিখা দ্বারা বেষ্টিত যেটি ৩৭ একর জমির উপর নির্মিত। ছোট তরফ ও বড় তরফ হিসেবে রাজবাড়িটি ২টি অংশে বিভক্ত। শ্যামসুন্দর মন্দির, কালী মন্দির ও শিব মন্দির নামে ৩টি মন্দির রয়েছে রাজবাড়ির অভ্যন্তরে। এই রাজবাড়িটির প্রধান ও অন্যতম আকর্ষণ হলো পানিবেষ্টিত পরিখা, পুকুর এবং বিভিন্ন ধরণের গাছপালা ও নিরিবিলি পরিশেবের এক ঐতিহাসিক স্থাপনা। বর্তমানে পুরো এলাকাটি রানীভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান হিসেবে জেলা প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি (উত্তরা গণভবন)
নাটোর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে এবং নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবনটি নিঃসন্দেহে অন্যতম। রাজা রামজীবন তার অধীনস্ত নায়েব দয়ারামের উপর সন্তুষ্ট হয়ে এই দিঘাপতিয়া পরগনা উপহার দেন। ১৭৩৪ খ্রিষ্টাব্দে দয়ারাম রায় দিঘাপতিয়া রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করার পর এই রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে এক ভয়ংকর ভূমিকম্পে এই রাজবাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে তৎকালীন রাজা প্রমদানাথ রায় দীর্ঘ এগারো বছর ধরে এই রাজবাড়িটি পুনর্নিমাণ করেন। এই রাজবাড়িতে মোট ১২টি বিভিন্ন ভবন রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান প্রাসাদ, কুমার প্যালেস, প্রধান কাচারি ভবন, ৩টি কর্তারানির বাড়ি, রান্নাঘর, মোটর গ্যারেজ, ড্রাইভার কোয়ার্টার, স্টাফ কোয়ার্টার, ট্রেজারি ভবন ও সেন্ট্রি বক্স।আরও পড়ুন: সিলেটে ঘোরার আকর্ষণীয় স্থান কোনগুলি?
রাজবাড়ির মূল আকর্ষণ হলো রাজবাড়ির প্রবেশ পথে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক সিংহদুয়ার,যার উপরে রয়েছে এক বিশাল ঘড়ি, যা ইতালির ফ্লোরেন্স থেকে আনা। এ ছাড়াও নিরাপত্তা, মৎস্য শিকার, সৌন্দর্য বর্ধন এবং বিনোদনের জন্য প্রাসাদের চতুর্দিকে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সুগভীল পরিখা বা হ্রদ, শ্বেতপাথরের নারী ভাস্কর্য, ফল, ফুল ও ঔষধি গাছের বাগান এবং ভবনের দরজা ও জানালাগুলি মূল্যবান কাঠের তৈরী। ১৯৬৬ সালে এটি পূর্ব পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসার পর তা সরকারি ভবন হিসেবে সংস্কার করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে এটিকে উত্তরা গণভবন হিসেবে নামকরণ করা হয়।চলনবিল জাদুঘর
বাংলাদেশের নাটোর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী নাটোরের এই চলনবিল। নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে চলনবিল জাদুঘরটি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর গ্রামে অবস্থিত। ১৯৮৭ সালে অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই জাদুঘরটিতে রয়েছে চলনবিলের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, শিলালিপি, টেরাকোটা, বিভিন্ন দর্শনীয় বস্তু, যেমন-মাছ, ঝিনুক, শামুক ছাড়াও দিল্লির সমরাট আলমগীর ও্ বাদশা নাসির উদ্দিনের স্বহস্তে লিখিত কোরান শরিফ,গাছের বাকলে লেখা দুইটি সংস্কৃত পুঁথি, তিনশ বছরের পুরনো মনসামঙ্গল,সত্যপীরের ইত্যাদি।হালতির বিল
২০০৪ সালে নির্মিত এই বিলের মাঝ বরাবর অর্থাৎ পাটুল থেকে খাজুরা পর্যন্ত প্রায় সাত কি.মি. দীর্ঘ সড়কটি পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে বর্ষার সময়কালে। বর্ষার সময় এই বিলটি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়াই এর উত্তাল জলরাশির ঢেউ সমুদ্রের মত মনে হয়। এ জন্যই বিলটিকে বলা হয় পাটুল মিনি কক্সবাজার, যা হালতির বিল বা হালতি বিল নামেই সমধিক পরিচিত। এই বিলটি নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত।গ্রীন ভ্যালি পার্ক
নাটোর জেলার লালপুরে অবস্থিত প্রায় ১২৩ বিঘা জায়গার উপর নির্মিত গ্রীন ভ্যালি পার্কটি বর্তমানে চিত্তবিনোদনকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ও মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে সকল বয়সীদের জন্য রয়েছে নাকারকম রাইডার, মিনি ট্রেন, বুলেট ট্রেন, ওয়েবপুল, নাগরদোলা, ম্যারিগো রাউন্ড, পাইরেট শিপ, হানি সুইং, স্পিডবোট, প্যাডেল বোট সহ প্রায় ১৬টির বেশি রাইড। এ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আছে শ্যুটিং স্পট, পিকনিক স্পট, বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার রাইডস ইত্যাদি। এ ছাড়াও রয়েছে ক্যাফেটোরিয়া, বিভিন্ন শপ, কার পার্কিং ব্যবস্থা, নামাজের স্থান, সভা বা সেমিনার করার স্থানসহ কনসার্ট অ্যান্ড প্লে গ্রাউন্ড।নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস
বনপাড়া ক্যাথলিক মিশন
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির খ্রিষ্টান সংগঠন ‘পিমে’ হতে আগত ধর্মযাজক ফাদার টমাস এখানে ১৯৫৮ সালে আগমন করে এখানে একটি গির্জা স্থাপন করেন। পরবর্তীতে অত্র স্থানটি খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসী জনসাধারণের কাছে একটি পুর্ণ স্মৃতিতে পরিপূর্ণ লাভ করে। এই ধর্মপল্লীর অন্তর্ভূক্ত গ্রামগুলোতে প্রায় ৭ হাজার খ্রিষ্টান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী বসবাস করেন।বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চলনবিল
বাংলাদেশের একমাত্র বিল হচ্ছে চলনবিল। এটি বর্তমানে ১১৫০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। নাটোর, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ছোট ছোট বিল, যেমন-পিপরূল, ডাঙাপাড়া, তাজপুর, লারোর, নিয়ালা, মাঝগাঁও, চোনমোহন, শাতাইল, দারিকুশি, গজনা, বড়বিল, সোনাপাতিলা ও ঘুঘুদহ বিলগুলির সমন্বয়ে এই চলনবিল। একসময় এই বিলের আয়তন ছিল ৫০০ বর্গমাইল বা ১৪২৪ বর্গকিলোমিটার। চলনবিলের সাথে মিশে আছে করতোয়া, আত্রাই, গুড়, তুলসী, বড়াল, মরা বড়াল ও ভাদাইসহ বেশ কয়েকটি নদী। অনেক বিস্তৃত এই চলনবিল ভরা বর্ষায় পুরো যৌবনপ্রাপ্ত হয়ে ওঠে। অন্যান্য সময়ে পর্যটকরা এই বিলে নৌকাযোগে ভ্রমণ করেন, প্রয়োজন মাছ শিকার করে থাকেন।শহীদ সাগর
১৯৭১ সালের ৫ মে নাটোর জেলার গোপালপুরে আজিমপুর এলাকায় অর্থাৎ নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে অবস্থিত এই শহীদ সাগর স্মৃতিস্তম্ভ ও পুকুরটি। কথিত আছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এই সুগার মিলের শতাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সুগার মিলের অতিথি ভবনের সামনে পুকুড় পাড়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এর পরবর্তীকালে স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানটিকে শহীদ সাগর নামকরণ করা হয়। উল্লেখ্য শহীদদের স্মরণে উক্ত স্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ এবং এর পূর্বদিকে একটি ফুলের বাগান গড়ে তোলা হয়। ২০০০ সালে এই শহীদ চত্বরে একটি স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণ করা হয়।বুধপাড়া কালিমন্দির
নাটোর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষক এই বুধপাড়া কালিমন্দিরটি। নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলায় অবস্থিত বুধপাড়ায় প্রায় ৫৩০ বছরের পুরোনো এই কালিমন্দিরটি। কথিত আছে নবাব আলিবর্দী খানের শাসনামলের সময় বঙ্গীয় অন্যায় অত্যাচার থেকে বাচতে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের খাগড়া থেকে প্রায় ৬০ ঘর কংস বণিক এই নাটোরের বুধপাড়ায় বসতি স্থাপন করেন। বলাবাহুল্য সে সময়ে তারা কালীপূজার অর্চনা করতেন এবং তারই ফলশ্রুতিতে তারা খড় দিয়ে এই মন্দির স্থাপন করেন, যা বুধপাড়া কালীমন্দির নামে প্রচারিত হয়। প্রতি বছর কার্তিক মাসে এই মন্দিরে মহা ধুমধাপে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আর এই পূজা উপলক্ষ্যে এখানে মেলারও আয়োজন হয়, যেখানে সকল ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ করে থাকে।নাটোর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
নাটোর জেলার ইতিহাস ও কবি জীবনান্দ দাশের সেই অমর কবিতা বনলতা সেনের জন্য নাটোর সারা বিশ্বে পরিচিত। এ ছাড়াও রানী ভবানী, নাটোর রাজবাড়ী, উত্তরা গণভবন, চলনবিল, কাঁচাগোল্লাসহ বর্তমানে গ্রীনভ্যালি পার্কের কারণেও অনেকে নাটোর ভ্রমনে বেড়াতে আসেন।নাটোর জেলার বিখ্যাত খাবার সমূহ
কাঁচাগোল্লাবলাই বাহুল্য নাটোরের কাঁচাগোল্লা। ধারণা করা হয়, কাঁচা ছানা দিয়ে তৈরী করা হয় বলেই এই মিষ্টির নামকরণ হয়েছে কাঁচাগোল্লা। কাঁচা ছানার গন্ধ ও চিনির সিরার স্বাদ মিলিয়ে অসাধারণ এক খাবার হলো এই নাটোরের কাঁচাগোল্লা।
অবাক সন্দেশ
মিষ্টির মধ্যে নাটোরের অবাক সন্দেশ উল্লেখযোগ্য। দুধ, চিনি দিয়ে তৈরি এই সন্দেশ অত্যন্ত সুস্বাদু। এই অবাক সন্দেশের নামকরণে নিয়ে নানারকম মতপার্থক্য দেখা যায়। তবে কেউ কেউ মনে করেন, মজাদার এই সন্দেশ স্বাদের কারণে তা খাওয়ার সাথে সাথে অবাক হয়ে যাওয়ার কারণেই হয়তো এর নামকরণ অবাক সন্দেশ।কুশালি
নাটোর জেলার আঞ্চলিক খাবার কুশালি, মূলত একটি একটি পিঠা জার্তীয় খাদ্য। দুধ, পুলি পিঠাকে এই অঞ্চলের মানুষ কুশালি বলে থাকে।ভাত তেলানি
নাটোর জেলার জনজীবনের সাথে মোটামুটি মিশে আছে এই ভাত তেলানি। অর্থাৎ হাড়িতে বেঁচে যাওয়া ভাত ফেলে না দিয়ে সেই ভাতগুলি পুরনায় রান্না করাকেই ভাত তেলানি বলে।নাটোর জেলার ইতিহাস - নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান-শেষ কথা:
প্রতিটা স্থানেরই রয়েছে নিজস্ব একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বলাবাহুল্য আজকের আয়োজনে আমরা নাটোর জেলার ইতিহাস - নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে উপরোক্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছি। আশা করি, আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজন আপনাদের জানার আগ্রহকে আরও প্রসারিত করবে এবং সেইসঙ্গে যদি কোন মন্তব্য/পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টসে তা জানাবেন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামের যত দর্শনীয় স্থান ও নামসমূহ
পরিশেষে আশা করি নাটোর জেলার ইতিহাস - নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান বিষয়ক তথ্যে দীর্ঘক্ষণ যুক্ত থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url