নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
ঐতিহাসিক ভাবে নওগাঁ জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই জেলায় রয়েছে প্রাচীন মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন বংশের সময়কালের অনেক স্থাপনাসমূহ, যা কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে।
নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর মহাবিহার, পাহাড়পুর জাদুঘর, বলিহার রাজবাড়ী, দিবর দীঘি বা দিব্যক জয়স্তম্ভ, ডানা পার্ক, কুসুম্বা মসজিদ, রঘুনাথ মন্দির বা রামমন্দির, পতিসরের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠি বাড়ী, জগদ্দল বিহার, আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র: নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ (Tourist attractions in Naogaon district)
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার:
৯ম শতকে পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল দেব এই বৌদ্ধবিহারটি নির্মাণ করেন। এই বৌদ্ধবিহারে প্রায় ৩০০ বছর ধরে ধর্মচর্চা ও জ্ঞানচর্চা পরিচালিত হতো। উল্লেখ্য, তৎকালীন সময়ে তিব্বত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও মায়ানমার হতে জ্ঞানচর্চার নিমিত্তে বৌদ্ধরা এই স্থানে মিলিত হতেন। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি আবিস্কার করেন এবং পরবর্তীতে ইউনেস্কো ১৯৮৫ সালে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নাটোর জেলার ইতিহাস - নাটোর জেলার কোনগুলো দর্শনীয় স্থান
ধারণা করা হয়, চতুষ্কোণাকার এই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের চর্তুদিকে চওড়া সীমান প্রাচীর দ্বারা ঘেরা ছিল এবং এই সীমানা প্রাচীরের অভ্যন্তরেই ৯২টি সারিবদ্ধভাবে ৯২টি ছোট ছোট কক্ষ ছিল। এই কক্ষগুলোতেই ভিক্ষুরা বসবাস করতেন এবং এর মধ্যে কিছু কক্ষকে প্রার্থনা হিসেবেও ব্যবহার হতো। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এই বিহারের সম্মুখ অর্থাৎ প্রবেশ পথে একটি পুকুর ছিল। তবে ১৯৮৩-৮৫ সালের দিকে এখানে খননের ফলে খলিফা হারুন আল রশিদের শাসনামলের রৌপ্য মুদ্রা, মুর্তি, মুদ্রা এবং বিভিন্ন শিলালিপি পাওয়া যায় যা বৌদ্ধ বিহারের জাদুঘরে সরক্ষিত আছে। উপরোক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বা সোমপুর মহাবিহার পরিদর্শন করতে গেলে দেখতে পাবেন, কেন্দ্রীয় মন্দির, স্থানাগার ও শৌচাগার, সন্ধ্যাবতীর ঘাট, উন্মুক্ত অঙ্গন, সত্যপীরের ভিটা, গন্ধেশ্বরী মন্দির ইত্যাদি।
রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি পতিসর:
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তাঁর জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে সর্বপ্রথম কালিগ্রাম পরগনার জমিদারী দেখাশোনার জন্য পতিসরে আগমন করেন। তিনি সাহিত্য রচনা ও জমিদারী দেখাশোনা করার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন প্রকার জনহিতৈষীমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি অত্র এলাকার অবহেলিত মানুষের জন্য দাতব্য হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ, রবীন্দ্রনাথ ইন্সষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে উল্লেখ থাকে যে, ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারের এক লক্ষ আট হাজার টাকা দিয়ে তিনি পতিসরে একটি কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৭ সালের ২৭ জুলাই শেষবারের মতো পতিসরে আগমন করেন। বরীন্দ্রনাথে কুঠিবাড়ী হিসেবে খ্যাত এই বাড়ীটি দোতলা, বাড়ির সামনে সিংহ দুয়ার, চওড়া আঙ্গিনা, নান্দনিক প্রবেশ পথ এবং এর ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথে একটি আবক্ষ মূর্তি এবং মার্বেল পাথরে খোদিত রবীন্দ্র রচনার কিছু কথা। এ ছাড়াও কাচারী বাড়ির ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন তৈজসপত্র, কবির স্বহস্তে লিখিত চিঠি, কবির বিভিন্ন বয়সের ছবি এবং আসবাবপত্র। কুঠিবাড়ীটির সামনে দেখতে পাবেন, রবীন্দ্র সরোবর, দীঘি ও কালিগ্রাম রবীন্দ্রনাথ ইন্সসিটিটিউট। এখানে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা ভালো, পতিসরের এই কুঠিবাড়িতে অবস্থানকালে তিনি চিত্রা, পূর্ণিমা, সন্ধ্যা, গোরা, ঘরে-বাইরে সহ বহুসংখ্যক গল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন।
পাহাড়পুর জাদুঘর:
১৯৬০ সালে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের নিকটে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে পুনরায় পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে এই জাদুঘরের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। চার গ্যালারী বিশিষ্ট এই জাদুঘরে বিভিন্ন অঞ্চল হতে সংগৃহীত নিদর্শনগুলো রাখা আছে। উল্লেখিত সংরক্ষণাগারের সংরক্ষিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে পোড়ামাটির ফলক, অলংকৃত ইট, পোড়ামাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র এবং ব্রোঞ্জের তৈরি বুদ্ধের আবক্ষ মূতি।জগদ্দল বিহার:
ধারণা করা হয়, জগদ্দল মহাবিহারটি ১১শ শতাব্দী হতে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে প্রায় নয়শত বছরের প্রাচীন এই স্থাপত্য নিদর্শনটি বৌদ্ধদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঐতিহাসিক সূত্রানুযায়ী একাদশ শতকে রাজা রামপাল ভীমকে পরাজিত করে তার প্রিয় পিতৃভূমি বরেন্দ্র উদ্ধার করেন এবং প্রজা সাধারণের জন্য পাহাড়পুরের কাছাকাছি রাজধানী রামাবতী এবং শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে এই জগদ্দল মহাবিহার বা বিশ্বলয়টি তিনি স্থাপন/প্রতিষ্ঠা করেন। উল্লেখ্য বাংলার বিভিন্ন ধর্মমঙ্গল কাব্যগ্রন্থসমূহ এবং নীহারঞ্জন রায়ের ‘বাঙ্গালীর ইতিহাস’ গ্রন্থে এই জগদ্দল বিহারের উল্লেখ রয়েছে। ১৯৯৭ সালে খননের মাধ্যমে এই বিহারের আংশিক স্থাপত্য কাঠামো ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব আবিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালে এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পুনরায় জগদ্দল বিহারের প্রায় ৩২টিও বেশী স্থান খনন করে বিভিন্ন অলংকৃত মূতি, ১৩৪টি প্রত্নতত্ত্ব, ১৪টি ব্রোঞ্জের মূর্তি, ৩৩টি ভিক্ষ কক্ষ, পোড়া মাটির টেরাকোটা, অলংকৃত পাথরের চৌকাঠ, দেবী কক্ষ সহ গ্রানাইট পাথরের প্রায় ৬০ সে.মি. ছাদের ভগ্নাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলি পাহাড়পুর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।বলিহার রাজবাড়ি:
নওগাঁ জেলার বলিহার ইউনিয়নে অবস্থিত রাজবাড়িটি বলিহার জমিদার সমরাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক জায়গির লাভের মাধ্যমে তা নির্মাণ করেন। বিভিন্ন সময়ে অনেক জমিদার এই বলিহার জমিদারিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে সর্বশেষ রাজা বিমলেন্দু রায় সপরিবারে ভারতে চলে গেলে তা রাজবাড়ীর কর্মচারীরা দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে রাজবাড়ীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন, আসবাবপত্র এবং অনেক মূল্যবান সামগ্রী লুট হয়ে যায়। বিশালাকার এই জমিদার বাড়িটি দোতলা, বাড়ির সামনে আছে বিশালাকার তোরণ এর ভেতরে নাট মন্দির, রাজ রাজেশ্বরী মন্দির, জোড়া শিব মন্দির, ২টি শিবলিঙ্গ ইত্যাদি। এ ছাড়াও মন্দিরের দেয়ালে রয়েছে মূল্যবান রিলিফের কারুকার্য যা এর সৌন্দর্যকে আরও নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। তবে বর্তমানে এই রাজবাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে, কিন্তু রাজবাড়ির ভিতরের দেবালয়ে নিয়মিত পূজা-অর্চনা করা হয়ে থাকে।দিব্যক জয়স্তম্ভ:
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলায় অবস্থিত দিবর দিঘীর মাঝখানে অবস্থিত একটি স্তম্ভ। ৩১ ফুট ৮ ইঞ্চি সম্বলিত এই স্তম্ভটি পানির নীচে ডুবে থাকে ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। স্তম্ভটির উপরের অংশটি খাঁজা কাটা মুকুট আকৃতির যা কারুকার্য দ্বারা আচ্ছাদিত। দিব্যক জয়স্তম্ভটি নিয়ে নানা মতবিরোধ থাকলেও ভীম তার পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে বা দিব্যকের রাজত্বকালে, পাল যুবরাজ রামপাল কর্তৃক বরেন্দ্র অঞ্চল উদ্ধারের লক্ষ্যে দিব্যকের কাছে পরাজিত হওয়ার ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখাল লক্ষ্যেই মূলত এই স্তম্ভটি নির্মিত হয়ে থাকে। তবে স্থানীয়দের নিকট এটি দিব্যক রাজার বিজয়লাভের স্মৃতি স্বরুপ দিব্যক জয়স্তম্ভটি সমধিক জনপ্রিয় ও পরিচিত।আলতাদিঘী:
ইতিহাস থেকে জানা যায় রাজা বটু এর শাসনামলে একদিন রানী একটি দিঘী খুঁড়ে দেয়ার প্রস্তাব করলে, রাজা বলেন, তুমি হাঁটতে শুরু কর, যতোক্ষণ পর্যন্ত তোমার পা ফেটে রক্ত বের না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত হাঁটবে, এবং যেখানে থামবে সেটাই হবে দীর্ঘির সীমানা। একপর্যায়ে রানী যখন হাঁটা বন্ধ না করে এগিয়ে যেতে থাকেন, তখন রাজা সৈন্যদের দিয়ে রানীর পায়ে আলতা লাগিয়ে দেন যা পরবর্তীতে আলদাদিঘী নামে পরিচিতি অর্জন করেন। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় এই দিঘীটি অবস্থিত। দীঘিটিকে বৌদ্ধ যুগের কীর্তি হিসাবে মনে করা হয় কারণ দীঘির নিকটেই পাল শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত জগদ্দল বিহার দেখতে পাওয়া যায়। আলতাদিঘীর প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর আলতাদিঘীতে প্রায় ৫৫ হাজার প্রজাতির দেশী মাছ ও ১৪ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী বসবাস করে।ডানা পার্ক:
নওগাঁ জেলার ভবানীপুর গ্রামে প্রায় ১০ বিঘার উপর নির্মিত ডানা পার্ক্ নিরিবিলি পরিবেশের এই পার্কে রয়েছে টয় ট্রেন, প্যাডেল বোট, দোলনা, নাগরদোলা, চরকি, বিভিন্ন প্রকার রাইড, শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশু কর্ণার, সুইমিংপুল ইত্যাদি। বিভিন্ন ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে হাতি, হরিণ, বাঘ, ক্যাঙ্গারু, ঘোড়া, জিরাফ ও বক। ডানা পার্কের দেয়ালগুলিতে অঙ্কন করা আছে গ্রাম বাংলার প্রচলিত বিভিন্ন দৃশ্যাবলী। উল্লেখ্য এখানে খাবারের জন্য রয়েছে রেষ্টুরেন্ট।কুসুম্বা মসজিদ:
ইতিহাস হতে জানা যায়, শুর বংশের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের শাসনামলে সুলায়মান নামের এক ব্যক্তি ১৫৫৮ খ্রিষ্টাব্দে এই কুসুম্বা মসজিদটি নির্মাণ করেন। কুসুম্বা মসজিদটি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ৮নং কুসুম্বা ইউনিয়নের কুসুম্বা গ্রামে অবস্থিত। এই মসজিদটিতে চারকোণা কালো, ধূসর পাথর ও পোড়া মাটি দ্বারা নির্মিত। মসজিদের চারকোণায় রয়েছে অষ্টাভুজাকৃতির ৪টি সুন্দর মিনার বা বুরুজ, মসজিদে প্রবেশের জন্য ৩টি দরজা রয়েছে, মসজিদের কেবলার দেওয়াল জুড়ে রয়েছে গোলাপের নকশা আর এর মিহরাবগুলিতে রয়েছে পাথরের খোদাই করা নানারকম নকশা। ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পের ফলে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এই মসজিদটি।নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ-পরিশেষে:
আজকের আলোচনায় নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ এর মধ্যে বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী অথবা সুপ্রাচীন বিভিন্ন স্থাপত্যের বিষয়ে জানতে পেরেছেন। এ ছাড়াও নওগাঁ জেলায় ভ্রমণ করতে গেলে অবশ্যই এখানকার গুড়ের সন্দেশ, প্যারা সন্দেশ, স্পঞ্জের মিষ্টি, ছাতিয়ান ও বালুভরার দই ও কীর্তিপুরের পাতলা দই খেতে ভুলবেন না।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামের যত দর্শনীয় স্থান ও নামসমূহ
প্রকৃতপক্ষে নওগাঁ জেলার বেশ কতকগুলো আদি নাম রয়েছে, যেমন-মহাকুমা, বরেন্দ্র, পুন্ড্রনগর, মহানন্দা ইত্যাদি। অবসর সময়ে ভ্রমণ করতে পারেন নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ গুলোতে, তাতে ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাবে এবং সেইসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে নিজের মনটাও আনন্দে ভরে যাবে।
যাইহোক আজকের নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ এর বিষয়ে আপনাদের কোন মতামত/পরামর্শ থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বস্কে তা জানাতে পারেন এবং এতোক্ষণ আমাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url