পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান
রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভূক্ত পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। নানা স্থাপনায় সমৃদ্ধ পাবনা জেলা ভ্রমণ পিপাসুদের নিকট অন্যতম আকর্ষণীয় ও বিনোদন কেন্দ্র।
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে মূল্যায়ন করা যাবে না, কেননা এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন বহু প্রথিতযশা লেখক, সাহিত্যিক, অভিনেত্রী, ধর্মীয় প্রাণ এবং সর্বোপরি পাবনার বিখ্যাত তাঁতশিল্প। সুৃতরাং আজকের আলোচনায় পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান সম্পর্কে জানা আমাদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
পোস্ট সূচিপত্র: পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান (Tourist and Traditional Places of Pabna District)
পাবনার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প
হার্ডিঞ্জ ব্রীজ বা পাকশী ব্রিজ
পাকশী রিসোর্ট
কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ী/স্মৃতি সংগ্রহশালা
প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ (আশ্রম-মন্দির)
চাটমোহর শাহী মসজিদ
আটঘরিয়া বংশীপাড়া গ্রামের চন্দ্রাবতীর ঘাট
জোড় বাংলা মন্দির
পাবনা মানসিক হাসপাতাল
তাড়াশ রাজবাড়ী
গজনার বিল
চলনবিল
দুবলিয়া মেলা
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান-পরিশেষে
পাবনার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প:
মূলত
পাবনা জেলাটি তাঁতশিল্পে সমৃদ্ধ। এখানকার তৈরীকৃত শাড়ী, লুঙ্গি, গামছা
ইত্যাদি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে, এর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হলো শাড়ী, লুঙ্গি, গামছা ইত্যাদি। পাবনা জেলার তাঁত প্রধান
এলাকাগুলি হলো দোগাছী, সুজানগর, বেড়া, সাথিয়া, আটঘরিয়া প্রমুখ।
হার্ডিঞ্জ ব্রীজ বা পাকশী ব্রিজ:
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে বলা যায়, আজ
থেকে প্রায় ১২৬ বছর আগে অর্থাৎ ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের দার্জিলিং ও
আসামের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৎকালীন ব্রিটিশ
সরকার এর ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ এর নামানুসারে এই ব্রিজটির নামকরণ হয়
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। পাকশী ব্রিজ বা হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি ঐতিহাসিক ভাবে যথেষ্ট
গুরুত্ব বহন করে। কারণ এই ব্রিজের ভীত গভীরতম পানির সীমারেখা থেকে ১৬০ ফুট
মাটির নীচে অবস্থিত। এ ছাড়াও ১৫ নং স্তম্ভের কুয়া স্থাপিত হয়েছে পানি নিম্ন
সীমা থেকে একশত ৫৯ দশমিক ৬০ ফুট নীচে অর্থাৎ সমুদ্রের গড় উচ্চতা থেকে একশত
৪০ ফুট নীচে। উল্লেখ্য, তৎকালীন সময়ে এই ব্রিজটিই ছিল সর্বোচ্চ গভীরতম
ব্রিজ। হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি অত্যন্ত সুন্দর হওয়াতে তৎকালীন ব্রিটিশ ইন চীফ
ইঞ্জিনিয়ার রবার্ট উইলিয়াম গেইলসে সাহেবকে পুরস্কার স্বরূপ স্যার উপাধিতে
ভূষিত করা হয়। বর্তশানে এই ব্রিজের আশেপাশের সৌন্দর্য ঘিরে ইতিমধ্যে পিকনিক
স্পট, রিসোর্ট গড়ে উঠেছে।
পাকশী রিসোর্ট:
অত্যাধুনিক
ব্যবস্থাপনায় নির্মিত, প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্বলিত, নিরিবিলি অসাধারণ এক
রিসোর্ট হচ্ছে পাকশী রিসোর্টটি। এখানে খেলাধুলা করার জন্য রয়েছে বাস্কেট
বল, লন টেনিস কোর্ট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, বিলিয়ার্ড, ক্যারাম, দাবাসহ
নানা ধরণের খেলার ব্যবস্থাপনা। এ ছাড়াও সাঁতার কাটার জন্য রয়েছে সুইমিং
পুল। এই রিসোর্টের প্রতিটি কক্ষই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যে কোনো পাঁচতারা
হোটেলের অনুকরণে রয়েছে বুফে, বিশাল ডাইনিং, বারবিবিকিউ, প্রশস্ত বসার স্থান
যা সবকিছুই অ্ত্যন্ত পরিপাটি ও গোছানো। এই রিসোর্টে রাত্রিযাপন করলে আপনি
পাবেন সকালের সুর্যের পরশ, দখিনা হাওয়া এবং শিশিরভেজা রিসোর্টের নিরিবিলি
পরিবেশ, ডাবল বেডরুমসহ অ্যাটাচড বাথ এবং সঙ্গে বেলকনি। যারা অ্যাডভেঞ্চার
ভালোবাসে তারা এখানে ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং থাকতে পারেন
তাবুতে। এই রিসোর্টে একটি মিনি চিড়িয়াখানা আছে, যেখানে হরিণ, বানর ও পাখি
দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
এককথায় অসাধারণ সৌন্দর্যমন্ডিত এই পাকশী রিসোর্টটি। আপনি চাইলে একা একা হেঁটেও ঘুরতে পারেন, কুঁড়ে ঘরে বিশ্রাম নিতে পারেন, পদ্মা নদীর ধারে ঘুরতে ও নৌকায় ভাসতে বা ছিপ-বড়শি দিয়ে মাছও ধরতে পারেন।কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ী/স্মৃতি সংগ্রহশালা:
বাংলা
সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও খ্যাতিমান নায়িকা সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক নিবাস
পাবনা জেলার গোপালপুর এলাকার হিমসাগর লেনে অবস্থিত। অবৈধ দখল হতে উদ্ধার
করে বর্তমানে এই বাড়িটিকে একটি সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস:
বাংলা
সাহিত্যে চলিত গদ্য রীতির প্রবর্তক, বিখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর বাড়ী
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। বাংলা সাহিত্যে তাঁর
জ্ঞানগর্ভ বিশারদের পাশাপাশি তিনি অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেন। যেমন-বীরবলের
হালখাতা, চার ইয়ারী কথা, আহুতি, নীলোলোহিত ইত্যাদি।
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ (আশ্রম-মন্দির):
পাবনা
জেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নে অবস্থিত শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ বা
আশ্রম মন্দিরটি। পৈতৃক সূত্রাবলী অনুযায়ী অনুকূল চন্দ্রের পিতা ও মাতার
বাসস্থান ছিল এই হেমায়েতপুর। সেই লক্ষ্যেই তিনি তারা পিতা-মাতার স্মৃতি
রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দিরটি। উল্লেখ্য যে, ঠাকুন শ্রী অনুকূল
চন্দ্র মানবকল্যাণে তাঁর জায়গা-জমি যথাসর্বস্ব উৎসর্গ করে গেছে। মন্দিরের
সম্মুখ প্রাসাদে ‘স্মৃতি মন্দির’ লেখাটি পাথরের উপরে খচিত। প্রতি বছর শ্রী
অনুকূর চন্দ্রের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে এখানে বিরাট আয়োজনের
ব্যবস্থা করা হয়, ধারণা করা হয়, প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে এই
অনুষ্ঠানটিতে।
চাটমোহর শাহী মসজিদ:
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে চাটমোহর শাহী মসজিদটি অন্যতম। পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায় অবস্থিত এই মসজিদটি ১৫৮১ খ্রিষ্টাব্দে সমরাট আকবরের শাসনামলে সেনাপতি মাসুম খাঁ কাবলি এ স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। তৎকালীন সময়ে এবং বিভিন্ন পাঠ্য পুস্তকে এই মসজিদটির নাম মাসুম কাবলি মসজিদ বলা হলেও কালের আবর্তে তা চাটমোহর শাহী মসজিদের পরিণত হয়েছে। ৩টি গম্বজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি লাল জাফরী অর্থাৎ আমাদের চলমান ইটের মতো মোটা না হয়ে চিকন চিকন ধরণের ইটকে জাফরী ইট দ্বারা নির্মিত। মসজিদের ভেতরে ৩টি কাতারে দাঁড়ানোর ব্যবস্থাসহ কালিমা তাইয়্যেবা লিখিত একটি কালো পাথর রয়েছে।
আটঘরিয়া বংশীপাড়া গ্রামের চন্দ্রাবতীর ঘাট:
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে অবস্থিত এই
চন্দ্রাবতীর ঘাট’টি কিন্তু একটি। এক সময়ে এই অঞ্চল দিয়ে চন্দ্রাবতী নদী প্রবাহিত এবং নদীর
পাড়ে বংশীপাড়া/চন্দ্রাবতীর ঘাটটি অবস্থিত। ১৯৭১ সালে এই ঘাটে পাকিস্তানী
সেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল সামনাসামনি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
জোড় বাংলা মন্দির:
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে কিন্তু রাঘবপুর নামক স্থানে অবস্থিত এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন জোড় বাংলা
মন্দিরও অন্যতম। কথিত আছে, আঠারো শতকের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে ব্রজমোহন ক্রোড়ী নামে
মুর্শিদাবাদ নবাবের এক তহসিলদার ছিলেন। তিনিই এই বাংলা মন্দিরটি নির্মাণ
করেন। ইটের বেদীর উপর নির্মিত এই মন্দিরের প্রবেশ পথ তিনটি। এর পথের
দুইপাশে রয়েছে দুটি বিশাল স্তম্ভ। টেরাকোটার কারুকার্যে পরিপূর্ণ মন্দিরটি
দিনাজপুর জেলার কান্তজিউ মন্দিরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মন্দিরের পেছেনের
অংশেই রয়েছে বের হবার রাস্তা।
পাবনা মানসিক হাসপাতাল:
পাবনা
জেলার সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের একমাত্র পুরাতন
মানসিক এই হাসপাতালটি। প্রায় ১৩৩ একর জমির উপর নির্মিত এবং ৫০০ আসনের এই
মানসিক হাসপাতালটি একসময় উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ সমৃদ্ধ মানসিক হাসপাতাল।
তাড়াশ রাজবাড়ী:
পাবনা
জেলার গোপালপুরের এ.হামিদ রোডে তাড়াশ ভবন বা তাড়াশ রাজবাড়ীটি অবস্থিত। পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তথা ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে জমিদার বনমালী রায় বাহাদুর
এই ভবনটি স্থাপন করেন। তবে জমিদার বনমালী রায়ের পূর্বপুরুষরা এখানে বসবাস
করতেন না, তিনি নিজের অবসরকালীন কাটানোর লক্ষ্যে মূলত এটি তৈরী করেছিলেন।
ভবনটি নির্মাণের কয়েক বছর পর জমিদার বনমালী রায় এই ভবনের পার্শ্বেই বনমালী
ইনস্টিটিউট, টাউন হল জগন্নাথ দেবের মন্দির ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
মূলত তাড়াশ ভবন বা রাজবাড়িটি দ্বিতল বিশিষ্ট এবং এর আয়তাকার একটি প্রাচীন গ্রীক ধাচের পুরাকীর্তি স্থাপত্যশিল্প। তাড়াশ ভবনের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর বিশালাকার প্রবেশ তোরণ। কথিত আছে, জমিদার বনমালী রায়ের ২টি হাতি ছিল, সে কারণে হাতির প্রবেশ পথে যেন এই তোরণগুলির বাধা না পায় সেজন্যই এই প্রবেশ তোরণকে বিশালাকার ভাবে তৈরী বা গঠন করা হয়।গজনার বিল:
পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় অবস্থিত এই গাজনার বিল। এই বিলটি ছোট ও বড় মিলে মোট ১৬টি বিলের সমন্বয়ে গঠিত এবং এর আয়তন প্রায় ৭ একর। বলাবাহুল্য, গাজনার বিলটি সুজানগর উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে সমৃদ্ধ। বর্ষাকালে এই বিলের অপরূপ সৌন্দর্য দর্শনে পর্যটকগণ এখানে আগমন করেন। বিলটিতে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যায় এবং শুষ্ক মৌসুমে এই বিলে ইরি ও পেঁয়াজের চাষ হয়। মূলত গাজনার বিলটি বাদিইসুলুইজ গেটের মাধ্যমে পদ্মা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
চলনবিল:
বাংলাদেশের একমাত্র সুবৃহৎ বিল হল চলনবিল। বলা যায়, পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত চলনবিল অন্যতম। চলনবিলটির প্রকৃত যৌবন ফুটে ওঠে ভরা বর্ষায়। অপরূপ সৌন্দর্যের এই বিলটি আপনি ইচ্ছে করলে নৌকা যোগে ঘুরতে পারেন, চাইলে মাছও ধরতে পারেন। ভরা মৌসুমে এই বিলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। আপনি চাইলেও চলনবিল জাদুঘরটি দেখতে পারেন। গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামে অবস্থিত এ জাদুঘরটি। সারাদিন নৌকাযোগে ঘোরা, ঢেউয়ের আছাড় সবকিছু মিলে মনে হবে কোন সমুদ্র জলরাশিতে বিচরণ করছেন।
দুবলিয়া মেলা:
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান এর মধ্যে দুবলিয়া মেলা’কে আমরা ধরতে পারি। পাবনা
সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামে শত বছরের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে প্রতি বছর এই
মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ শারদীয়া দুর্গা পূজার সময় দুবলিয়া উচ্চ
বিদ্যালয় ও হাজী জসীম উদ্দিন কলেজ মাছ মাসব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়ে
থাকে। মেলায় দৈনন্দিনের ব্যবহার্য্য যাবতীয় জিনিসপত্রসহ পাটজাত পণ্যসমূহ,
সিরামিক, হস্তশিল্পজাত, গৃহস্থালি আসবাবপত্র, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স
জিনিসপত্র ইত্যাদি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও শিমুদের জন্য নাগরদোলা,
যাদুপ্রদর্শনী, ট্রেন, দোলনাসহ নানা ধরণের বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নিকট অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মজাদার হিসেবে জনপ্রিয় এই
দুবলিয়া মেলাটি।
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান-পরিশেষে:
পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান এর মধ্যে রয়েছে বেশকিছু প্রথিতযশা সাহিত্যিক, বরেণ্য অভিনয় শিল্পী, চলনবিলসহ পাবনার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প। এ ছাড়াও এই পাবনা জেলায় ব্রিটিশ আমলে তৈরীকৃত ঈশ্বরদী রেল স্টেশন, পাকশী ব্রিজ বা হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ নানা স্থাপনাসমূহ। আজকের আর্টিকেল পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান বিষয়টি আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্টস বক্সে জানাতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান কোনগুলো
আসলে যে কোন নতুন বিষয়ে জানার আগ্রহ মানুষকে অনুসন্ধিৎসু করে তোলে, যার ফলে তার জানার আগ্রহ প্রতিনিয়তই বাড়তে থাকে। মূলত জ্ঞানের কোন সীমানা নেই, তা বিস্তর আকাশের মত অথবা সাগরের মতো বিশাল এক পৃথিবী। তারপরেও আমাদের প্রয়োজনে জানতে হবে যাতে আমরা অপরকে জানাতে পারি। যাইহোক, দীর্ঘক্ষণ আমাদের সাথে পাবনা জেলার দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান বিষয়ে যুক্ত থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url