অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি?
অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগটি যে কারও হতে পারে। তবে এই অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? তা জানতে হবে।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে সাধারণত পেটের ব্যথা হবে বা হয়ে থাকে, এটা আমরা অনেকেই জানি। আবার এই পেটের ব্যথার কারণগুলোর মধ্যে যেমন-বদহজম, গ্যাস সর্বোপরি খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মের জন্য পেটের ব্যথা হতে পারে। কিন্তু আমাদের জানার বিষয়, অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি?
পোস্ট সূচিপত্র: অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? (Who is most likely to get appendicitis? What are its early symptoms?)
অ্যাপেন্ডিসাইটিস কি?
অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়
অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি?
ঝুঁকির কারণসমূহ
কিভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে
অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি?-পরিশেষে
অ্যাপেন্ডিসাইটিস কি?
অ্যাপেন্ডিক্স হলো একটি আঙ্গুলের সমান, পাতলা থলি বা থলির গঠন। সাধারণত এটি পেটের নীচের ডানদিকে থাকে। আর এতে সংত্রমণ হলে তাকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলে। অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে যাওযা মানে, সেখানে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে ব্যথা ও ফোলার পরিমাণ বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: ভেজানো চিনা বাদামের পুষ্টি গুণাবলী সমূহ
অনেক সময় পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহের অভাবে অ্যাপেন্ডিক্স হখে অনেকেই মারা যেতে পারে। আর এর দেয়ালে ছিদ্র তৈরিহলে তা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়;
সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? বিষয়ক আলোচনায় অ্যাপেন্ডিসাইটিস বেশি হয় ১০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপেন্ডিক্স শুকিয়ে যায়। আবার অ্যাপেলো হাসাপাতালের তথ্য অনুযায়ী তা ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে হয়ে থাকে।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি?
- সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও উপসর্গগুলি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। নিম্নে এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি বর্ণিত হলো:
- তলপেট ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা ধীরে ধীরে বাড় id=""তে থাকা;
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া শুরু হওয়া;
- মুখে রুচি থাকেনা, ক্ষুধামন্দা ভাব;
- বমি বমি ভাব থাকে;
- দুর্বলতা;
- জ্বরের সাথে ঠান্ডা বোধ হওয়া:
ঝুঁকির কারণসমূহ:
- অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ঝুঁকির অন্যতম কারণ হলো বয়স। অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে এবং তরুণদের প্রাপ্ত বয়স্কদের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ঝুঁকির প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
- এই রোগটি অবশ্য মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: যে তিনটা জিনিস আটায় মেশালে বাড়বে হজমশক্তি
- গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণটি অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ঝুঁকির হার বাড়িয়ে তুলে।
- সাধারণত মানসিক বা অভ্যন্তরীণ আঘাত অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অন্যতম কারণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থাৎ কম ফাইবার সম্পন্ন খাদ্য গ্রহণের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এবং কিছু মল পদার্থ অ্যাপেন্ডিক্সে জমা হয়ে যায়, যার কারণে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হতে পারে।
কিভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে:
অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? হিসেবে যদিও অ্যাপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধের নিশ্চিত কোন উপায় নাই, তবে উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে তা অনেকটা নিরাপদে থাকা যায়। কারণ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব দেশের মানুষরা উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য করেন, সেকানে অ্যাপেন্ডিসাইটিস কম দেখা যায়। আসলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের কারণে শরীরকে নরম মল তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এতে করে অ্যাপেডিক্স ব্লকেজ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলি, যেমন-মিষ্টি আলু, কাঁচা বাদাম, মাশরুম ইত্যাদি। তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা বলতে উপরোক্ত সমস্যাগুলির লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে খাদ্য তালিকার মধ্যে ফল,সবজি, ওটমিল, গোটা গম, গোটা শস্য, বাদামী চাল, মসুর ডাল, মটরশুটি এবং অন্যান্য লেবু খাদ্য তালিকায় রাখাটা জরুরী।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি?-পরিশেষে:
আসলে শারীরিক যে কোন সমস্যা তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বিষয় হলো সচেতনতা এবং নিয়মানুযায়ী চলা। সাধারণত অনেকেই আছে, যারা খাদ্য গ্রহণের পরপরই কোন জন্য বেরিয়ে পড়েন। আসলে যে কোন খাবার গ্রহণের পর অন্ততপক্ষে ৫-১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করে তবেই হাঁটাচলা উচিত। যদিও আমরা অনেকেই উক্ত নিয়মটি জানি, কিন্তু মেনে চলিনা। আসলে খাবার গ্রহনের পরপরই কাজ করতে হয় না। আবার অতিরিক্ত বিলাসিতায় খাদ্যাভ্যাসও পরিবর্তন করে ফেলি, নানারকম ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। তাই আজকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? বিষয়গুলো আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন গ্রিন টি খেলে কি হয়? গ্রিন টি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আসলে অ্যাপেন্ডিসাইটিসটি হলো একটি আঙ্গুলের সমান এবং এটি পেটের নীচের ডানদিকে থাকে। যদিও এটি শরীরের কোন উপকারে আসেনা, তারপরেও তা জীবণাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় আমরা দাঁড়িয়ে পানি পান করে থাকি, আসলে এটা ঠিক নয়। আবার অনেক সময়, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কোনরকম মুখের ভিতর খাবার গুজে দিয়েই খেতে খেতে রওনা হই। যাইহোক, আজকের অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য/পরামর্শ থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। পরিশেষে অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কাদের বেশি হয়। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? বিষয়ক আলোচনায় আপনার দীর্ঘক্ষণ সম্পৃক্ততার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url