চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে
চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সমূহ অনেক এবং সবথেকে বড় বিষয় হলো চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে, চিরতার পুষ্টিগুণাবলীসমূহ, কীভাবে খাওয়া যেতে পারে এবং এর জন্য সতর্কতা কি, তা জানাটা অত্যন্ত দরকার।
মূলত চিরতা আমাদের রোগ-প্রতিরোধ সহ শরীরের নানা উপকার করে থাকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে
চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে
চিরতার পুষ্টিগুণাবলীসমূহ
চিরতা কীভাবে খাওয়া যেতে পারে
চিরতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা
পরিশেষে
চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতাঃ
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
চিরতা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঠান্ডা, কাশি, জ্বর এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে। অর্থাৎ এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেও শরীরকে রক্ষা করে।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন গ্রিন টি খেলে কি হয়? গ্রিন টি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ওজন কমাতে সহায়তা
ওজন হ্রাস করার ক্ষেত্রে চিরতার মধ্যে থাকা মিথানল মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। সাধারণত যাদের ওজন বেশি, বা বিশাল দেহ তাদের চিরতা খাওয়া যেতে পারে। কারণ চিরতা ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
লিভারের সমস্যা সমাধানে সহায়তা
লিভারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে চিরতা সহায়তা করে থাকে। অর্থাৎ লিভারের কোষগুলিকে আরাম প্রদানের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার, সিরোসিস এবং লিভার সংক্রান্ত অন্যান্য অসুখ সারিয়ে তুণতে সহায়তা করে থাকে। এ ছাড়াও লিভার থেকে টক্সিন দূর করতে চিরতা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিরতা অত্যন্ত উপকারী। এই ধরণের সমস্যাগুলি সমাধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিরতার গাছের কাণ্ড কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে না যাওয়া অবধি খেয়ে যেতে হবে। তাহলে ঘরোয়াভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত সমস্যার সমাধান হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
চিরতা ভেজানো পানি রক্তে শর্ককার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত এটি শরীরের ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে। অর্থাৎ নিয়মিত চিরতা সেবনে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে থাকে।
ত্বকের যত্নে চিরতা
চিরতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় তা ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। কারণ এটি ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে এবং ব্রণ কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এক কথায় নিয়মিত চিরতার পানি সেবনের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ঘটে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা
যাদের হজমজনিত সমস্যা আছে, তারা চিরতা ভেজানো পানি নিয়মিত পান করতে পারেন। কারণ চিরতায় থাকা উপাদানগুলি পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং সেইসঙ্গে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে। বিশেষ করে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বিভিন্ন অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে চিরতা খুবই কার্যকরী।
সোরিয়াসিস থেকে মুক্তি
অর্থাৎ সোরিয়াসিস সারিয়ে তুলতে চিরতা খুবই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ রাত্রে মাত্র ৪ গ্রাম চিরতারসাথে ১২৫ গ্রাম পানি মিশিয়ে রেখে দিতে হবে এবং পরেরদিন সকালে তা পান করে খালি পেটেই অন্তত ৩-৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ এইভাবে অন্তত দুই সপ্তাহ খেতে পারলেই সোরিয়াসিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
ব্যথা ও প্রদাহনাশক
সাধারণত যাদের আর্থ্রাইটিসে জয়েন্টে ব্যথা বা ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে চিরতার পানি খুবই ভালো সহায়তা করে থাকে। এ ছাড়াও যে কোন ধরণের ব্যথা, ফুলে যাওয়া সমস্যার জন্য চিরতা খুবই কার্যকরী।
পেট ফাঁপাজনিত সমস্যার সমাধান
সাধারণত অনিয়ম ও বিভিন্ন খাদ্যাভাসের কারণে অনেক সময় আমাদের পেট ফেঁপে ওঠে, যার ফলে শরীরে তৈরি হয় একটা অস্বস্তি।
আরও পড়ুনঃ ধুমপান ছাড়ার কার্যকরী কৌশলসমূহ
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা
চিরতা ক্যানসারের মতো জিটিল রোগ সারিয়ে তুলতে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে লিভারজনিত ক্যান্সার সারিয়ে তুলতে চিরতা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
কৃমি নাশে সহায়তা
অর্থাৎ শরীরে বিভিন্ন কারণে অনেক সময় কৃমির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে ঔষুধ না খেয়ে নিয়মিত চিরতা ভেজানো পানি সকালে খালি পেটে খেতে পারলে তা কৃমিনাশকে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। চিরতার পানি এই ক্ষুদ্রাঙ্ক থেকে কৃমি বের করে দিয়ে এই অঙ্গকে বিভিন্ন জীবাণু ও রোগের হাত থেকে পরিত্রাণ দিয়ে থাকে।
চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারেঃ
চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে বলতে সাধারণত তা ১০ থেকে ১৫ দিনের বেশি একটানা খাওয়া উচিত নয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে চিরতার পানি খেলে তা কিডনি, যৌন সমস্যা সহ অন্যান্য বিপরীতমূখী প্রভাব দেখা দিয়ে থাকে। মোট কথা চিরতার পানি পরিমিত পান করাটাই সবচেয়ে ভালো।
তবে বেশীর ভাগ মানুষইিএই চিরতার পানি রাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালে তা ছেঁকে খালি পেটে পান করে থাকেন। তবে এই প্রক্রিয়াটি কোনমতেই চলমান থাকা উচিত নয়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে কতদিন পর পর চিরতার পানি পান করা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, একটানা চিরতার পানি পান না করে তা থেমে বা বিরতি দিয়ে আবার পান করা শুরু করুন। এতে করে স্বাস্থ্যগত যে অসুবিধাগুলো তৈরি হয়ে থাকে তা বাধাপ্রাপ্ত হবে।
চিরতার পুষ্টিগুণাবলীসমূহঃ
চিরতা আমাদের এই উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ভেষজ উদ্ভিদ। যার ধারাবাহিকতা বর্তমানেও অব্যাহত। বিশেষ করে রক্ত পরিস্কার, ত্বকের যত্ন, হজম শক্তি বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরসন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কৃমিনাশক, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড উপসর্গ কমানো, লিভার পরিস্কারসহ নানা উপকার করে থাকে।
চিরতার পুষ্টিগুণাবলীর অন্যতম হলো-অ্যামারোগেনটিন (পৃথিবীর অন্যতম তিতা যৌগ), গ্লুকোসাইডস, ম্যাঙ্গানিজ, জেন্টিয়ানিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, স্যুরিন এবং বিভিন্ন বায়োঅ্যাটিভের যোগ ইত্যাদি।
চিরতা কীভাবে খাওয়া যেতে পারেঃ
চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকলে তা বিপরীতমূখী হতে পারে। তাই নিম্নে চিরতা খাওয়ার কিছু পরামর্শ প্রদত্ত হলো:
রাত্রে ১ থেকে ২ টুকরা শুকনো চিরতা এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে, পরদিন সকালে তা ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে ফেলতে হবে। অর্থাৎ চিরতা কিভাবে খাওয়া যেতে পারে তার একটি অন্যতম উপায়, যা সচরাচর সবাই করে থাকে।
কিছু চিরতা পানির মধ্যে দিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট পর্যন্ত ফুটাতে হবে। এরপর তা ঠান্ডা করে নিয়ে দিনে অন্তত ১ থেকে ২ বার খাওয়া যেতে পারে। তবে কোনমতেই তা গরম গরম খাওয়া যাবে না। পরিমিত ঠাণ্ডা হলে তবেই খেতে হবে।
আবার সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে শুকনো চিরতা প্রথমে গুঁড়ো করে নিন, এরপর সেই গুঁড়ো করা চিরতা আধা চা-চামচ হালকা গরম পানিতে ভালোভাবে মিশিয়েও দিনে একবার পান করতে পারেন। তবে তা সকালের দিকে খেলেই সবচেয়ে ভালো। কারণ অনেকের ঠান্ডাজনিত সমস্যা থাকলে তা রাত্রে না খাওয়াই ভালো।
দিনের কোন এক সময়ে শুকনো চিরতা জ্বাল দিয়ে সেদ্ধ করে ভালোভাবে ঢেকে রেখে দিন। এরপর আপনার সময়ানুযায়ী তা পরবর্তীতে পান করতে পারেন। অর্থাৎ চিরতা সেদ্ধ করে পানীয় তৈরি করে রেখেও তা পরবর্তীতে পান করতে পারেন।
বর্তমানে অনেক আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠানগুলি চিরতার নির্যাসমুক্ত ক্যাপসুল তৈরি করে তা বাজারজাত করছে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খেতে পারেন। কারণ একমাত্র অভিজ্ঞ চিকিসকই আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।
চিরতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ
চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এবং চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে হিসেবে এর বিভিন্ন সতর্কতা রয়েছে, যা নিম্নে বর্ণিত হলো:
অতিরিক্ত চিরতা সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যদিও পূর্বেই আমরা আলোচনা করেছি যে, চিরতা এক নাগাড়ে খুব বেশীদিন খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তথাপি তা পরিমিত বা একনাগাড়ে না খেয়ে মাঝে মধ্যে বিরতি দিয়ে তা খেতে হবে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য চিরতা সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। কারণ তাতে নানারকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে। তাই একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই গর্ভবতী নারীদের চিরতা খাওয়া যেতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক/ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। কারণ নিয়মিত বা প্রতিদিন যদি চিরতার পানি খাওয়া যায়, তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন জাতীয় সমস্যাসহ নিম্ন রক্তচাপ বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সাধারণত যাদের নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার রয়েছে,তাদের প্রতিদিন চিরতার পানি পান না করাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে এমন ব্যক্তিদেরও চিরতা খাওয়া যাবে, তবে বিরতির মাত্রা দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে। অর্থাৎ অবশ্যই প্রতিদিন খাওয়া যাবেনা অবাার একনাগাড়ে ৩-৪ দিনও নয়।
অনেকেরই অতিরিক্ত চিরতার পানি পান করার ফলে বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা বা মাথাব্যথাসহ নানা উপসর্গসমূহ দেখা দিয়ে থাকে। কারণ সবসময়ই বা সবক্ষেত্রে বা সবরকম পরিস্থিতিতেই যে চিরতা পানি খাওয়া যাবে এমন ভাবনা থাকা উচিত নয়। আসল কথা হলো আপনার শরীর সেটা কতখানি নিতে পারছে তার উপর নির্ভর করেই যে কোন জিনিস খেতে হবে।
জেনে নিন, চিরতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সমূহ-পরিশেষেঃ
চিরতা ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম ইউরোপে আবিস্কৃত হয়। প্রশস্ত পাতার এই গাছের ফল সাদা রঙের হয়ে থাকে এবং ২-৩ ফুট পর্যন্ত গাছের উচ্চতা ধারণ করে। সুতরাং চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছে, আশা করি তা বুঝতে পেরেছেন। অর্থাৎ চিরতার যেমন নানা উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে অনেক। সবথেকে বড় বিষয় হলো যে বিষয়ই অতিরিক্ত যাতে না হয়। তাই চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারেসম্পর্কিত আলোচনাগুলি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে তা অবশ্যই অন্যদের শেয়ার করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয়? এটা কি কোন অসুখের লক্ষণ?
আসলে যদিও আমরা জানি যে সবকিছুরই আবিস্কার বা উৎপত্তি প্রকৃতি থেকেই। তাই বর্তমানে এমন কিছু প্রাকৃতিক ভেষজ বা ঔষধ রয়েছে, যা সম্পূর্ণই নির্ভেজাল এবং শুদ্ধ। যাইহোক, আজকের চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে বিষয়ক আলোচনায় যদি কোন মন্তব্য/পরামর্শ প্রদান করতে চাইলে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। পরিশেষে, চিরতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - চিরতার পানি কতদিন খাওয়া যেতে পারে আর্টিকেলে আপনার দীর্ঘক্ষণ অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url