শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে
শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে বা ক্লান্তি দূর করার জন্য দরকার পর্যাপ্ত পানি পান এবং সেইসঙ্গে সঠিক সময়ে নাস্তা গ্রহণ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, শারীরিক পরিশ্রম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নানাবিধ খাদ্যসমূহ, যা জানতে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
মূলত শরীরকে সতেজ ও ক্লান্তিহীন রাখতে সবথেকে জরুরী হচ্ছে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, আর সেটা জেনে রাখাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
পেজ সূচিপত্রঃ শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে
শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে
পর্যাপ্ত পানি পান
সঠিক সময়ে নাস্তা গ্রহণ
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা
কায়িক শ্রম বা শারীরিক পরিশ্রম
পর্যাপ্ত ঘুমানো
ফল ও শাকসবজি
মধু খেতে হবে
চর্বিহীন প্রোটিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ
কাঠবাদাম
খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা
এক কাপ দই
চা ও কফি পান
ডার্ক চকোলেট
ক্যাফেইনমুক্ত পানীয় গ্রহণ
খাদ্য তালিকায় মাখনা
শেষ কথা
শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারেঃ
শরীর নামক যন্ত্রটি পরিচালিত হয় মূলত খাবারের মাধ্যমে, তবে তার পাশাপাশি সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে আমাদের মন বা মানসিক প্রশান্তি। তাই সর্বাগ্রে আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে তা জানতে হবে। যেমন-পর্যাপ্ত পানি পান, সঠিক সময়ে নাস্তা গ্রহণ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম, পর্যাপ্ত ঘুম সহ এর পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে ফল ও শাকসবজি, মধু, তরমুজ, চর্বিহীন প্রোটিন, পুরো শস্য, কাঠবাদাম, কিশমিশ, ওটমিল, ডিম, দই, চা ও কফি, ডার্ক চকোলেট, ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট, আমল্ড, ক্যাফেইনমুক্ত পানীয়, মাখন ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না
অর্থাৎ উপরে বর্ণিত খাদ্যগুলি হয়তো সবগুলো প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখা সম্ভব না হলেও চেষ্টা করতে হবে, যাতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় তা রাখার। যদিও আমরা জানি যে, শুধু খেলেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যাবে না, আবার কোন শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াও ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এমনটাও নয়। কারণ অবসাদ বা ক্লান্তি একজন মানুষকে ধীরে ধীরে অনেক পিছিয়ে দেই। আবার এটাও ঠিক যে, যদি মন খারাপ হয়, তাহলে তার প্রভাব কিন্তু মনের উপরও পড়ে। তাই সবকিছুর মূলে রয়েছে সঠিক খাদ্য গ্রহণ এবং তা সময়মত। অর্থাৎ এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে শরীরের ক্লান্তিভাব অনেকটাই দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখতেও সহায়তা করবে।
পর্যাপ্ত পানি পানঃ
বলা হয় পানির আর এক জীবন। তাই শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে-র মধ্যে সর্বাগ্রে দরকার পর্যাপ্ত পানি পান। কারণ একজন সুস্থ্য মানুষের প্রতিদিন ২-৩ লিটার পারি পান করা। মূলত পানি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং খাদ্য পরিপাক তন্ত্রে সহায়তা করা ছাড়াও শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে থাকে। আসলে শরীরে অন্যান্য উপাদানের চেয়ে পানির পরিমাণ বেশি। খেয়াল করে থাকবেন, অনেক সময় আমাদের ঘন ঘন হাম ওঠে, কিন্তু সে সময় যদি এক গ্লাস পানি পান করতে পারেন, তাহলে দেখবেন হামও বন্ধ হয় এবং শরীরে একটা এনার্জি আসে। আবার অনেক সময় দেখবেন, প্রচণ্ড ক্লান্তি আসছে এবং ক্লান্তির কারণে হালকা ঘুমও আসছে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন, তাহলে দেখবেন কিছু সময়ের মধ্যে আপনার ক্লান্তিভাব দূর হয়ে গেছে। তাই সর্বাগ্রে শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
সঠিক সময়ে নাস্তা গ্রহণঃ
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে হলে সকালের নাস্তা সঠিক সময়ে এবং নিয়মিত করতে হবে। কারণ সকালে নাস্তা না করার ফলে একটা ক্ষুধাভাব থেকেই যায়, তারপরেও রাত্রিতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকার কারণে শরীরের অনেকাংশেই খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজনীয় দেখা দেয়, এ ছাড়াও সকালে নাস্তা করার ফলে কাজের এনর্জিও অনেকগুণে বেড়ে থাকে, যার কারণে সকালের নাস্তা সঠিক সময়ে করাটা স্বাস্থ্যগত হিসেবে ভালো।
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ
অনেক সময় অপরিস্কার কাপড়-চোপড়ে নানারকম অসুখ-বিসুখের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষ করে অ্যালার্জিজনিত সমস্যাগুলির জন্য পুরাতন বা অপরিস্কার কাপড় পরা একেবারেই উচিত নয়। কারণ অনেক সময় শরীরের ঘাম, দুর্গন্ধ বা ময়লা থাকে, যার ফলে শরীরে অস্বস্তি বা ক্লান্তি ভাব আসতে পারে সর্বোপরি প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করাটাও অত্যন্ত জরুরী। কারণ নিয়মিত গোসল না করার ফলে শরীরে ক্লান্তি আসতেই পারে।
কায়িক শ্রম বা শারীরিক পরিশ্রমঃ
অনেকেই আছে, যারা খাওয়া-দাওয়ার পর আর নড়ে-চড়েনা বা হাঁটাচলা করতে চাইনা। এক্ষেত্রে ঘুম বা ক্লান্তিভাব আসতেই পারে। আবার অনেকেই কোন একটা জায়গায় দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকে, এতেও ক্লান্তিভাব আসতে পারে। অর্থাৎ শরীরকে সুস্থ্য ও সবল বা সতেজ রাখার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করাটা অত্যন্ত জরুরী।
পর্যাপ্ত ঘুমানোঃ
শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। অর্থাৎ একজন মানুষের দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন, এক্ষেত্রে কোন কারণে যদি রাত্রে ঘুম কম হয়, তার প্রভাব পড়ে সারাদিনের কাজের উপরে এবং ফলাফল হয় শরীরে ক্লান্তি, অবসাদ বা ঘুম।
ফল ও শাকসবজিঃ
ফল ও শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে ক্লান্তিভাব দূর করা যায়। যেমন-পালং শাক অত্যন্ত ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি শাক। যাতে ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন রয়েছে। আর শরীরের ক্লান্তি দূর করতে প্রয়োজন হয় এই উপাদানগুলির। আবার ফলও শরীরের ক্লান্তি দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন-কলা, আপেল, তরমুজ এবং বিভিন্ন মৌসুমী ফল।
আরও পড়ুনঃ শীতকালে শিশুর ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন
অর্থাৎ এই সমস্ত ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আয়রন, খনিজ রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং প্রতিদিন অন্তত ৪০০ গ্রাম ফল এবং নিয়মিত শাকসবজি খেয়ে থাকলে তা যেমন একদিকে শরীরের পুষ্টিজনিত ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে থাকে তেমনি অপরদিকে শরীরে ক্লান্তি দূর করতেও যথেষ্ট সহায়তা করে থাকে।
মধু খেতে হবেঃ
শরীরে এনার্জি যোগাতে এবং অন্যান্য সমস্যার জন্য মধু অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। সাধারণত মধুতে আছে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ, যেটি শরীরে শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তিভাব দূর করতে সহায়তা করে থাকে। এ ছাড়াও সকালে এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারলে তা শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে এবং সারাদিনের শক্তি যোগাতে সহায়তা করে থাকে।
চর্বিহীন প্রোটিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণঃ
সাধারণত প্রোটিন শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে সহায়তা করতে পারে এবং তা দীর্ঘক্ষণ শরীরের শক্তি যোগায়। এ ছাড়াও হজমশক্তি উন্নত করে, অপুষ্টি রোগে সহায়তা, হঠাৎ শরীরে গ্লুকোজ বৃদ্ধি রোধ করে থাকে। এক্ষেত্রে চর্বিহীন প্রোটিনের উৎসগুলো হলো-মুরগির মাংস, ডিম, টার্কি, চর্বিযুক্ত মাছ, ডাল এবং সয়াজাতীয় পণ্যসমূহ।
কাঠবাদামঃ
বাদাম শরীরের জন্য ইনস্ট্যান্ট উপকারী খাদ্য। মনে করুন, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা অথবা কোজ করতে হয়, অথবা একটি কাজ দীর্ঘক্ষণ ধরে করার ফলে একঘেয়েমী বা ক্লান্তি বা অলসতা চলে আসে। ঠিক সেই মুহুর্তে যদি আপনি একমুঠো বাদাম খেতে পারেন, তাহলে আপনার দ্রুত শক্তি জোগাতে ভালো কাজ করে। কারণ বাদামে রয়েছে প্রোটিন, আঁশ, ভালো চর্বি, মিনারেল ইত্যাদি, যা শরীরে দ্রুত শক্তি যোগাতে এবং কোষ তৈরিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
খাদ্য তালিকায় ডিম রাখাঃ
ডিম একটি অত্যন্ত উপকারী এবং শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য। যদিও একটি ডিমের ওজন ৫০ গ্রামের মতো হয়ে থাকে, কিন্তু এতে প্রোটিন থাকে প্রায় ৬ গ্রাম। ডিমে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট, প্রোটিন ইত্যাদি। যার কারণে প্রত্যহ অন্তত একটি করে ডিম খেলে শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় অন্যান্য শক্তি যোগাতে সহায়ক হবে।
এক কাপ দইঃ
দই শরীরের ক্লান্তি দূর করার অন্যতম মাধ্যম। অর্থাৎ দই-এ রয়েছে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরের এনার্জি বা শক্তির ঘাটতি পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন যদি এক কাপ করে দই খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের ক্লান্তিভাব আর আসবে না।
চা ও কফি পানঃ
শরীরকে খুব শীঘ্র বা তৎক্ষণাৎ চাঙা করতে চা বা কফির জুড়ি মেলা ভার। কারণ এটি হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে, সেইসঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ায় এবং মন ও শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখতে সহায়তা করে থাকে। তবে তা অতিরিক্ত পানে সতর্ক থাকতে হবে।
ডার্ক চকোলেটঃ
সাধারণত ডার্ক চকোলেট শরীরে দ্রুত এনার্জি বৃদ্ধিসহ মনকে প্রশান্তি এনে দিতে চমৎকার কাজ করে থাকে। কারণ ডার্ক চকোলেটের মধ্যে রয়েছে থিব্রোমিন ও ট্রিপটোফেন নামক উপাদান, যা মেজাজ ভালো করতে এবং দ্রুত শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ক্যাফেইনমুক্ত পানীয় গ্রহণঃ
গবেষণার তথ্য অনুসারে অতিরিক্ত ক্যাফেইন পান করলে তা মাথা ব্যাথা, তীব্র ক্লান্তি বা ঘুমের সমস্যা বা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। তাই ক্যাফেইনমুক্ত কফি বা চিনি ছাড়া চা পান করলে সেটা স্বাস্থ্যগতভাবে সমস্যা নিরসনে অনেক সহায়ক হয়ে থাকে।
খাদ্য তালিকায় মাখনাঃ
সাধারণত পদ্মফুলের বীজকে মাখনা নামে অভিহিত করা হয় বা মাখনা নামে পরিচিত। আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন এ্ড মাখনা। কারণ মাখনায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম, যা শরীরে ক্লান্তি দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে-শেষ কথাঃ
আসলে আমাদের শরীর নির্ভর করে খাদ্যের উপর। তবে যে কোন খাদ্যই যে শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে সহায়ক হবে েএমনটাও নয়। অবশ্যই উপরে কিছু খাদ্যের বর্ণনা দেয়া হয়েছে, কিন্তু সবগুলো খাদ্যই যোগাড় বা নিয়মানুযায়ী খাওয়া কি সম্ভব? তবে প্রতিদিন খাদ্যাভাসে অন্তত কিছুটা হলেও রাখা যেতে পারে, যাতে করে শুধু ক্লান্তিভাবই নয়, শরীরের অন্যান্য অনেক সমস্যারই সহায়ক হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ শীতকালে কেন গ্লিসারিন ব্যবহার করবেন, এর উপকারিতা কি
সুতরাং আজকের শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে বিষয়ক আলোচনায় উপরোক্ত পরামর্শগুলো আশাকরি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। যদি আজকের আর্টিকেলের বর্ণনাগুলি আপনার নিকট ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই তা অন্যদের শেয়ার করতে পারেন। পরিশেষে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য/পরামর্শ থাকে, তাও কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। কেননা আপনাদের পরামর্শ ও মতামতই একটি একটি বিষয়বস্তুকে অন্তর্নিহিত তাৎপর্যে উন্নীত করতে পারে। সবশেষে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে বর্ণনায় আপনার দীর্ঘক্ষণ উপস্থিতি ও সম্পৃক্ততার কারণে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url