শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না
শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না বিষয়ে পানি বা তরল জাতীয় পান করতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, ঘুমকে প্রাধান্য দিতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম, ঠান্ডা প্রতিরোধে করণীয়, ত্বকের যত্ন এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ইত্যাদি বিষয়ে জানতে নিচের আলোচনাগুলি পড়তে থাকুন।
শীতকাল অনেকেরই পছন্দ, কিন্তু এই শীতকালই আবার অনেকের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই শীতকালে সকলেরই একটু সতর্ক থাকাটা জরুরী।
পেজ সূচিপত্রঃ শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না
শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না
প্রচুর পানি বা তরল পান করতে হবে
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে
গরম পোশাক পরিধান
ঘুমকে প্রাধান্য দিতে হবে
নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস
শীতকালে ত্বকের বিশেষ যত্ন
শীতকালে হাতের কাছে ঔষুধ রাখুন
শীতকালে যেগুলো করা ঠিক নয়
শেষ কথা
শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন নাঃ
শীতকালে সুস্থ্য থাকতে হলে অবশ্যই প্রচুর পানি বা তরল পান করতে হবে, সেইসাথে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, সময়মত গরম পোশাক পরিধান করতে হবে, ঘুমকে প্রাধান্য দিতে হবে, নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস অর্থাৎ হালকা শরীরচর্চা করতে হবে, শীতকালে ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হবে এবং শীতের সময় নানা অসুখের প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকে, তাই হাতের কাছে প্রয়োজনীয় ঔষুধগুলিও রাখতে পারেন। সুতরাং উপরোক্ত বিষয়গুলি বিস্তারিত ও পর্যায়ক্রমে নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ
প্রচুর পানি বা তরল পান করতে হবেঃ
সাধারণত অন্যান্য ঋতুর তুলনায় মানুষ শীতকালে কম পানি পান করে থাকেন। আর শুধুমাত্র এসব কারণে শরীরে দেখা দেয় নানাবিধ গুরুত্বর অসুখ ও সমস্যা। অবশ্যই চেষ্টা করবেন দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করার। এ ছাড়াও বাতাসে আর্দ্রতার অভাবও আমাদের শরীরে প্রতিফলিত হয়েও তৈরি করে থাকে নানাবিধ অসুবিধা। তাই শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সাধারণত শীতকালে ঠান্ডা পানি বেশি পান করা অতীব সমস্যা, তাই এক্ষেত্রে ঠান্ডা-গরম মিশ্রিত করে হলেও বেশী পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ শরীরে পানির অভাব ঘটলে শুরু হতে পারে ডিহাইড্রেশন, ত্বকের নানাবিধ সমস্যা, কিডনিজনিত সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাসহ নানাবিধ অসুবিধা। তাই শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন তরল জাতীয় খাদ্যও গ্রহণ করতে পারেন। যেমন-স্যুপ, উষ্ণ দুধ, আদা চা ইত্যাদি।
শীতকালে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবেঃ
শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে পুষ্টিকর জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ শীতকালে বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে সংযুক্ত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: শীতকালে শিশুর ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন
যেমন বিভিন্ন প্রকারের মাছ, বিশেষ করে ওমেগা-৩, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ ইত্যাদি। এ ছাড়াও শীতকালে প্রচুর শাক পাওয়া যায়। কারণ বিভিন্ন প্রকার শাকে রয়েছে জিঙ্ক, আয়রন, ভিটামিন সহ নানা উপাদান। তাই শীতকালে খাদ্য তালিকায় শাক অনুর্ভূক্ত করতেই পারেন। আবার বিভিন্ন সাইট্রাস জাতীয় ফলগুলি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে পারেন, কারণ সাইট্রাস জাতীয় ফলগুলোতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মত উপাদানসমূহ। মনে রাখতে হবে, শীতকালে সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখতে পারেন, যাতে আপনার শরীরের উচ্চ প্রোটনি, স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল এবং ভিটামিনের ঘাটতি কমাতে এবং সতেজ থাকতে সহায়তা করবে। শীতের মধ্যে ডার্ক চকোলেট সম্ভব হলে খেতে পারেন, তাতে আপনার শরীরের বাড়তি শক্তি যোগান দিবে। এ ছাড়াও প্রতিদিন না হলেও মাংস আপনার খাদ্য তালিকায় সংযুক্ত করতে পারেন। সুতরাং শীতকালে সুস্থ্য থাকতে হলে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ অবশ্যই জরুরী।
গরম পোশাক পরিধানঃ
সাধারণত ঠান্ডা প্রতিরোধে প্রয়োজনে গরম কাপড়, যেমন-সোয়েটার, শাল, গলার মাফলার, মোজা, ব্লেজার, কোর্ট বা জ্যাকেট ইত্যাদি নিয়মিত পরিধান করতে হবে। অর্থাৎ কোন অবস্থাতেই ঠাণ্ডাকে অবহেলার চোখে না দেখে এসব কাপড়গুলি হাতে কাছে রাখতে হবে। এ ছাড়াও বিছানায় শোবার জন্য লেপ বা কম্বল রাখতে হবে। সাধারণত যাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে, তাদেরকে বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই অন্যান্য গরম কাপড়ের সঙ্গে প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কারণ শীতকালে বিশেষ করে রাত্রের দিকে ঘন কুয়াশা পড়ে, তাই মুখে মাস্ক এবং মাথা ও কান ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে। এতে করে ঠান্ডা অনেকটাই প্রতিরোধযোগ্য হিসেবে কাজ করবে। বাহির থেকে এসে সম্ভব হলে গরম পানিতে হাত-মুখ ধুতে পারেন, আবার গোসল করার সময় অবশ্যই হালকা উষ্ণ গরম পানি করে নিন।
ঘুমকে প্রাধান্য দিতে হবেঃ
শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক রাখার নিমিত্তে ভালো ঘুম হওয়া অপরিহার্য। চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর। কারণ সঠিক ঘুমের মাধ্যমে আপনার ডাইজেস্টসহ শরীরের অন্যান্য ঘাটতি গুলোও পূরণ হবে। শীতের মধ্যে সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকজন ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা অনুভব করেন। এর কারণ হলো আপনার ঘরের এমন কোন জানালা বা বাতাস ঢোকার ছিদ্র রয়েছে, সেখান থেকে ঠান্ডা বাতাস আপনার শরীরের যে অংশ ফাঁকা বা খোলা থাকে সেই অংশে লেগে তা ব্যথার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার অনেকে বাতের ব্যথা বা বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথাজনিত সমস্যা ভুগে থাকেন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শীতকালে বাত-ব্যথা জয়েন্টে ব্যথাজনিত সমস্যাগুলি বেশি অনুভব করতে হয়। এর সঠিক কারণ হলো যথাসময়ে গরম কাপড় না পরা বা সেইসব স্থান ফাঁকা থাকায় ঠান্ডা বাতাস লাগা।
নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাসঃ
অন্য কোন ঋতুতে দরকার না হলেও বিশেষ করে শীতকালে চেষ্টা করবেন, হালকা ব্যায়াম করার। কারণ এতে করে আপনার শরীর সুস্থ্য থাকবে। এক্ষেত্রে ব্যায়াম বলতে আপনাকে দীর্ঘক্ষণ দৌড়াদৌড়ি বা মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করতে হবে এমনটা বলা হয়নি। যদি আপনার সময় থাকে, তাহলে সকালে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন, আর আপনি যদি খুবই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে একটু সকালে উঠে ঘরের মধ্যে হাঁটাহাঁটি বা বিভিন্ন যোগব্যায়াম করতে পারেন। শীতকালে ব্যাডমিন্টন খেলাটি শরীরকে অনেকটাই চাঙ্গা করে তোলে। আপনি ইচ্ছে করলে মাঠে গিয়েও খেলাধুলা করতেই পারেন। মোটকথা শীতকালে এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে হাঁটার চেষ্টা করুন এবং যতটুকু সম্ভব নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
শীতকালে ত্বকের বিশেষ যত্নঃ
শীতকালে যেহেতু বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে, তাই ত্বকে দেখা দেয় নানারকম সমস্যা। তবে শীতকালে ত্বকের যত্নে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন বা হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং সম্ভব হলে অতিরিক্ত সাবান এড়িয়ে চলতে হবে। শীতকালে ঘন ঘন মুখ ধোয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। চেষ্টা করুন সন্ধ্যায় হালকা ক্লিনজার এবং হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন: শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়সমূহ - শীতকালে ত্বকের যত্নে কোন প্রসাধনীগুলি ব্যবহার করবেন
মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে হালকা ক্লিনজার বিশেষ করে মৃদু কেমিকেল মুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন। শীতের মধ্যে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম হওয়ার কারণে ঠোঁট ও অনেক সময় পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে, তাই এক্ষেত্রে লিপ বাম ব্যবহার করতে পারেন। রাত্রের শোয়ার সময় পায়ের গোড়ালি ফাটাযুক্ত স্থানে অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। শীতে ত্বকের শুষ্কতা এড়াতে প্রয়োজনে মুলতানি মাটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
শীতকালে হাতের কাছে ঔষুধ রাখুনঃ
সাধারণত যাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে, তাদের তীব্র শীতে শরীর ব্যথা, মাইগ্রেন, জ্বর-সর্দি, কাশি, হাঁপানিবা শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই সেক্ষেত্রে আপনার হাতের কাছে কিছু ওষুধ রাখতেই পারেন, প্রয়োজনে অফিসে বা বাসায় একটি ফাস্ট এইড বক্স রাখুন। শীতের সময় চেষ্টা করুন ভিটামিন সি জাতীয় ফল, যেমন-লেবু,কমলা, আমলকী বা পেয়ারা খাবার। গরম পানি ব্যবহার ও তা পান করার চেষ্টা করুন। ধুলোবালি থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে দূরে রাখতে হবে। সর্দি হলে অলিভ অয়েল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন। গোসলের পর ভালো করে চুল শুকিয়ে নিন। যদি নাক বন্ধ থাকে, তাহলে গরম পানিতে মেন্থল দিয়ে হালকা শ্বাস নিতে পারেন।
শীতকালে যেগুলো করা ঠিক নয়ঃ
শীতকালে কি করবেন না এর মধ্যে যেমন-ঠান্ডা বা শীতজনিত আবহাওয়ায় নিজেকে সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মূলত শীতকালে কিছু কাজ করা উচিত নয়, যেমন-নিয়মিত এবং অতিরিক্তগরম পানি দিয়ে গোসল করা ঠিক নয়, কারণ এতে ত্বক শুষ্ক হয় যায়। আবার প্রচুর ঠাণ্ডা লাগলেই যে অতিরিক্ত গরম জামাকাপড় পরতে হবে, এমনটা নয়। আসলে শরীরে অতিরিক্ত জামা কাপড়ের কারণে তা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। সাধারণত শীতকালে মানুষ চা ও কফি বেশি পরিমাণে পান করে, এটি করা যাবে না। কারণ অতিরিক্ত চা ও কফি পানে শরীর শুষ্কসহ কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে বেশীর ভাগ মানুষ কিন্তু শীতকালে একেবারে কম পানি পান করে থাকে, এটি মোটেও করা যাবে না। কারণ একজন মানুষের দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত, সেক্ষেত্রে এর থেকেও যদি কম পানি পান করা হয়, তাহলে শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ছাড়াও শীতকালে অন্তত ১০টার অনেকেই গোসল করে থাকে, যদি জরুরী হয় সেক্ষেত্রে হালকা গরম পানি মিশ্রিত করে করা যেতে পারে, তবে প্রতিদিন বা নিয়মিত করা যাবে না। আবার অনেকে শীতকালে বেশী ঘুমিয়ে থাকার চেষ্টা করে, এটাও করা যাবে না। কারণ এতে শরীর আরও খারাপ করতে পারে।
শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না-শেষ কথাঃ
আজকের শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন হিসেবে নিজেকে সচেতন হতে হবে। অর্খাৎ শীতকালে যেমন অনেকেই একটু বেশি ঘুমিয়ে থাকে বা সকালে উঠতে চায়না। আবার অনেকেই দেরী করে ঘুম থেকে উঠার কারণে সকালের নাস্তাও ঠিকমত করেন না। আবার অনেকেই অন্যান্য দিনের মত শীতকালেও সকালে গোসল করে ফেলে। যদিও শীতকালে ক্ষুধা একটু বেশি লাগে, তাই বলে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়াও উচিত নয়। আসলে প্রতিটা কাজেরই একটা নির্দিষ্ট সময় বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কি করবেন না বলতে উপরোক্ত কাজগুলি যথা সময়ে করতে হবে।
আরও পড়ুন: শীতকালে হাঁপানি রোগ বেড়ে যায় কেন - শীতে হাঁপানি রোগীরা কীভাবে সতর্ক থাকবেন
সুতরাং আজকের শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না বিষয়ক আলোচনায় উপরোক্ত পরামর্শগুলি অনুসরণ করতে পারলে শীতের সময়ে ভালো থাকা সম্ভব হবে। শীতকালে এমন কিছু অসুখের উপশম দেখা দিয়ে থাকে, যা ঘরোয়া পদ্ধতিতেই সেরে নেয়া যায়। তবে অনেকেই আছেন, যারা নাক বন্ধ হয়ে গেলে সরিষার তেল নাকের মধ্যে ব্যবহার করে, আসলে এটি ঠিক নয়, কারণ এরকম ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। যাইহোক শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না বিষয়ক আলোচনায় আপনার যদি কোন মন্তব্য/পরামর্শ প্রদান করার থাকে, তাহলে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। মোট কথা যে কোন বিষয়েই সচেতনতা থাকা ভালো। পরিশেষে আজকের শীতে সুস্থ্য থাকতে হলে কি করবেন, কি করবেন না বিষয়ক পরামর্শ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনার দীর্ঘক্ষণ উপস্থিতি এবং সম্পৃক্ততার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url