যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে
যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে, তা হলো-পানি কম খাওয়া, প্রস্রাব চেপে রাখা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, ব্যথানাশক ঔষুধ, ধূমপান ও অ্যালকোহল এবং বংশগত কারণ, আর এসব বিষয়ে জানতে নিচের লেখাগুলো পড়তে থাকুন।
মূলত কিডনি আমাদের শরীরর থেকে টক্সিন ও অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। তাই শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি।
পেজ সূচিপত্র: যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে
যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে
পর্যাপ্ত পানি পান না করা
প্রস্রাব চেপে রাখা
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে আসক্ত
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস
ব্যথানাশক ঔষুধ সেবন
অতিরিক্ত ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
বংশগত কারণ
কিডনি ভালো রাখবেন যেভাবে
পরিশেষে
যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারেঃ
কিডনি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিন্তু আমাদের কিছু মাত্রাতিরিক্ত অভ্যাসের কারণে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের অবহেলা, উদাসীনতা অথবা খামখেয়ালীপনার কারণে নিজের অজান্তেই এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলি, যা ধীরে ধীরে কিডনিকে নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে অধিকাংশ সময়ে যেসব বদভ্যাসগুলো আমরা অনিচ্ছাকৃতভাবে করে থাকি, তা হলো-পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না, অনেক সময় প্রস্রাব লাগলেও তা চেপে রাখা, খোলা ও উন্মৃক্ত জায়গার অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে আসক্ত, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসজনিত কারণে, ঘন ঘন অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষুধ খেয়ে ফেলা, অতিরিক্ত ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন কার, আবার কেউ কেউ যে কোন খাওয়াতে অতিরিক্ত লবণ খেয়ে থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। সুতরাং যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে, তা নিম্নে আরও বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত হলোঃ
পর্যাপ্ত পানি পান না করাঃ
অনেকেই আছেন, যাদের পানি খেতেই দুনিয়ার কষ্ট। আবার এমন অনেকে আছেন, যারা প্রস্রাব করার ভয়ে পানিই খান না। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পানি পানের কারণে শরীর থেকে বর্জ্য বের হয়ে কিডনি পরিস্কার বা সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ সকালের নাস্তা না করলে শরীরের যে ক্ষতি হতে পারে
এখানে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে, কম পানি পান করলে তা কিডনিতে চাপ পড়ে এবং পাথরসহ নানা ধরণের অসুবিধার সৃষ্টি হয়ে থাকে। সাধারণত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২-৩.৫ লিটার পানি কোন না কোন ভাবে আমাদের পান করা উচিত।
প্রস্রাব চেপে রাখাঃ
অনেকেই আছেন, যারা কোন না কোন ইস্যুতে দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখে। এতে করে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমের উপর তার প্রভাব পড়ে এবং কিডনির কার্যকারিতা কমতে থাকে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে আসক্তঃ
সাধারণত কিডনি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ। অর্থাৎ অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যগুলির মধ্যে, যেমন-অ্যাড সুগার, অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সোডিয়াম থাকে, যা কিডনি নষ্টের জন্য অন্যতম। এ ছাড়াও বাইরে খোলা বা উন্মুক্ত স্থানে তৈরিকৃত অতিরিক্ত তেলে ভাজাপোড়া খাওয়া ইত্যাদি।
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসঃ
যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং সেইসাথে ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের কিডনি নষ্ট হয়ে যাওযার ঝুঁকি অনেকাংশে বেশি থাকে। কেননা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিযন্ত্রণ না করলে তা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে।
ব্যথানাশক ঔষুধ সেবনঃ
কিডনি নষ্ট হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো ঘন ঘন ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া। অর্থাৎ অনেকেই আছে, যারা সামান্য ব্যথায়ও ঘন ঘন ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকে। মূলত ঘন ঘন ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়ার ফলে কিডনির রক্তপ্রবাহ কমে যায় এবং ধীরে ধীরে কিডনি নষ্টের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
অতিরিক্ত ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনঃ
অনেকেই আছে, যারা ঘন ঘন বা খুবই নিয়মিত ধুমপান করে থাকে, আবার যারা মদ্যপানে অভ্যস্ত তারা ধীরে ধীরে মদ্যপানের মাত্রা বাড়াতে থাকে। অর্থাৎ অতিরিক্ত ধুমপান ও মদ্যপানের কারণে কিডনির রক্তনালীকে সংকুচিত করে ফেলে এবং কিডনির টিস্যুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বোপরি এতে কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়াঃ
অর্থাৎ যারা তরকারির বাইরেও অতিরিক্ত লবণ খেয়ে থাকে, সাধারণত তাদের রক্তচাপ বাড়ে, আর এ কারণে সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে থাকে। দীর্ঘদিনের অভ্যাসের কারণে তা কিডনিকে দুর্বল করে তোলে। তাই, যদিও এ ধরণের অভ্যাস থেকেই থাকে, তাহলে তা অবিলম্বে ত্যাগ করা উচিত। কারণ অকারণে বা নিয়মিত কাঁচা লবণ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তবে যদি কোন কারণে কাঁচা লবণ খেতেই হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তা খাওয়াই ভালো।
বংশগত কারণঃ
অনেক সময় জন্মগত এবং বংশগত কারণেও কিডনিজনিত সমস্যা হতে পারে। যেমন-মুত্রতন্ত্রের প্রদাহ, কিডনিতে পাথর ইত্যাদি। আসলে অনেক অসুখ জিনগত কারণেও হয়ে থাকে। যেমন ডায়াবেটিস বা জটিল কোন রোগ, যা বাস্তবিক বা সচরাচরই আমাদের চোখে পড়ে। এক্ষেত্রে করণীয় হিসেবে যেটা হতে পারে, তা হলো যদি বংশগত কোন জটিল রোগের লক্ষণ থাকে, তাহলে তার বিষয়ে আগে থেকেই সচেতনতা তৈরি করে রাখা ভালো। কারণ এতে করে অনেকটা বিপদ কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিডনি ভালো রাখবেন যেভাবেঃ
কিডনি ভালো রাখতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে। নিজেকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা থাকলে অবশ্যই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিভিন্ন সময়ে শরীরের প্রেশার উঠানামা করতেই পারে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই রক্তচাপ পর্যবেক্ষণে রাখাটাও জরুরী। অতিরিক্ত কাঁচা লবণ গ্রহণ এড়িয়ে চলতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক ও সুস্থ্য রাখতে চাইলে অবশ্যই অ্যালকোহল সেবন পরিত্যাগ করাটা জরুরী এবং সেইসঙ্গে যারা অতিরিক্ত ধুমপান করে থাকে, তাদেরকেও তা পরিত্যাগ করতে হবে অথবা ধীরে ধীরে তা কমিয়ে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, অনেক সময় বাজারে প্রক্রিয়াজাত অনেক খাবারই পাওয়া যায়, যা আমরা তৈরি করে খাওয়া কষ্টকর মনে করে এইসব বিভিন্ন প্রক্রিয়াজত খাদ্য ক্রয় করে খেয়ে থাকি, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং সমস্যা বয়ে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ শুটকি মাছ শরীরের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর?
কিডনি ভালো রাখতে হলে প্রথম ধাপ হিসেবে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিন ২ থেকে ৩.৫ লিটার পানি কোন না কোন ভাবে পান করতে হবে। এক্ষেত্রে সেটা উষ্ণ গরম পানিও হতে পারে। যদি একান্তই পানি পান করার ইচ্ছায় না ঘটে, তারপরেও যে কোন ইস্যু তৈরি করে পানি পান করতে হবে।
কিডনি সুস্থ্য রাখার জন্য ধুমপান ও অ্যালকোহল সেবন পরিহার করতে হবে। অনেকেই আছেন, যারা অতিরিক্ত পরিমাণ ধুমপান করে থাকে এবং সেইসঙ্গে অ্যালকোহলও। সাধারণত কিডনি রোগের কেস হিস্ট্রিতে দেখা যায় যে, তিনি এক সময় প্রচুর অ্যালকোহল সেবন করতেন অথবা চেইন স্মোকার ছিলেন।
দীর্ঘসময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখা যাবে না। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় যদি প্রস্রাব চেপে রাখা যায়, তাহলে তা কিডনির ওপরে চাপ পড়ে এবং সেটা যদি নিয়মিত বা দীর্ঘমেয়াদী ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে অনেকেই আছে, যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই সামান্য একটু ব্যাথাতে ঔষুধ সেবন করে থাকে, হতে পারে সেটা বাতের ব্যথা বা হাড়জনিত ব্যথা। সাধারণত যে কোন ব্যাথার ঔষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা মোটেই উচিত নয়। এটাও একটা কিডনি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ।
সাধারণত যাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অর্থাৎ নিয়মানুযায়ী না চললে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের অতিরিক্ত প্রভাবের দীর্ঘমেয়াদের কারণে তা কিডনির নষ্টের কারণ হয়ে থাকে।
অনেকেই আছেন, যারা তরকারিতে নির্ধারিত লবণ বাদেও অতিরিক্ত কাঁচা লবণ খেয়ে থাকে, তবে হতে পারে সেটা মাঝে মধ্যে। কিন্তু যখন এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়ায়, তখন অবশ্যই সেটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব বয়ে নিয়ে আসে। তাই এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে কাঁচা লবণ খাওয়াটাই স্বাস্থ্যগতভাবে ভালো।
কিডনিকে ভালো এবং সুস্থ্য রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং সেইসাথে বাজারে প্রচলিত নানারকম মৌসুমী ফল খাওয়া যেতে পারে। তবে যে কোন সময়েই যে, ফল খাওয়া ভালো, তা কিন্তু নয়। ফল খাওয়ার একটা নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে এখন কেউ যদি রাত্রি ১১টার দিকে পাকা পেঁপে খায়, সেটা অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে কিডনির জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। এ ছাড়াও নানা প্রকার শাকসবজিও খাওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে শীতকালে বাজারে নানাপ্রকার শাক পাওয়ায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, বিভিন্ন প্রকার শাকসবজিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপদান থাকায় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। বর্তমানে অনেকেই আছেন, যারা বাড়িতে তৈরি করা খাদ্যের থেকে প্যাকেটজাত বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য কিনে খাওয়াটাই বেশি পছন্দ করে থাকেন। আবার অনেকেই বাড়ির রান্না করা খাবারের থেকে বাইরের হোটেলের খাবার বেশি পছন্দ করে থাকেন। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরণের বদঅভ্যাসের কারনে কিন্তু কিডনি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে পারে।
অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা খোলাস্থানে তৈরিকৃত খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না। অর্থাৎ উন্মুক্ত বা খোলা স্থানে তৈরিকৃত বিভিন্ন ভাজাপোড়া শরীরের জন্যই খুবই ক্ষতিকর। হয়তোবা সেগুলো মুখরোচক হতে পারে, তবে তা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায় স্বাস্থ্যের জন্য তা হুমকি স্বরূপ হয়ে ওঠে।
যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে-পরিশেষেঃ
সুস্থ্য থাকতে চাইলে সচেতন হতে হবে, নিয়মানুযায়ী খাদ্য-খাবার গ্রহণ করতে হবে। আশাকরি, যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে এবং কিভাবে এই ধরণের সমস্যা থেকে ভালো থাকা যায় ইত্যাদি বিষয়গুলো উপরোক্ত বিষয়গুলি থেকে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: কিশমিশ ভেজানো পানি কখন খাওয়া সঠিক
অর্থাৎ যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে বিষয় সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য/পরামর্শ থাকে, তাহলে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন এবং প্রদত্ত পরামর্শগুলি যদি ভালো লাগে তাহলে তা অবশ্যই অন্যদের শেয়ার করতে পারেন। মূলত কিডনি সুস্থ্য রাখতে চাইলে সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি পান, শারীরিক পরিশ্রম বা নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং সর্বোপরি যে কোন সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে আপনার কিডনিকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করবে। যাইহোক, আজকে যেসব বদভ্যাসের কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে বিষয়ের সাথে আপনার দীর্ঘক্ষণ সম্পৃক্ততা ও উপস্থিতির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url