ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন

ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন তা যেমন জানা প্রয়োজন ঠিক তেমনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কারণগুলো কি কি হতে পারে, এর কি কি লক্ষণ বা উপসর্গ থাকতে পারে এবং সর্বোপরি হার্ট অ্যাটাক কমানোর কিছু উপায় সম্পর্কে জানতে নিচের আলোচনাগুলি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ঠান্ডার-সময়ে-হার্ট-অ্যাটাকের-ঝুঁকি-বাড়ে-কেন
একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, হার্ট অ্যাটাক ঘটার আগে কিছু সিম্পটোম বা কিছু প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে, যার গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন

ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কারণসমূহ
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণসমূহ
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর সাধারণ কিছু উপায়সমূহ
শেষ কথা

ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেনঃ

সাধারণত ঠান্ডার সময় শরীরের রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয়ে পড়ে, আর এর কারণে রক্তচাপও বাড়তে থাকে এবং ফলাফল দাঁড়ায় হৃৎপিন্ড শরীরকে গরম রাখতে তখন বেশি পরিশ্রম করতে হয়। আর শুধুমাত্র এই কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ে এবং হার্টে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে থাকে। আসলে শীতের সময় শরীরের নড়াচড়া কম হয়, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে মানুষের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন ঘটে থাকে আবার এর সাথে যোগ হয় বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পানের সমস্যা, ঠান্ডা লাগার কারণে শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রদাহের ঝুঁকিসমূহ বেড়ে যায়, বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত নানা ধরণের অসুখসমূহ, আবার যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডাযাবেটিস রয়েছে তাদেরও শরীরে যোগ হয় নানা ধরণের উপসর্গ। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ঠান্ডার সময়ে মানুষের নিয়ন্ত্রিত চলার কারণে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও ৩০-৫০% পর্যন্ত বেড়ে যায়।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কারণসমূহঃ

রক্তনালী সংকোচনঃ সাধারণত ঠান্ডার সময়ে অর্থাৎ আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় শরীর তার তাপমাত্রা তার তাপমাত্রা বজায় রাখতে আরও বেশি করে চাপ দেয়। যার কারণে ত্বকের কাছাকাছি রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। মূলত এই প্রক্রিয়াটিই রক্তনালী সংকোচন নামে পরিচিত। আসলে রক্তনালীগুলো যখন শক্ত হয়ে যায়, তখন রক্ত খুব সহজে শলীরে প্রবাহিত হতে পারে না, বাধা পায়। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং এর প্রভাবে হৃদপিন্ডকে আরও বেশি কাজ করতে বাধ্য করে। তবে সাধারণত যাদের হৃদরোগজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই অতিরিক্ত চাপ অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।

আরও পড়ুন: শরীরের ক্লান্তি দূর হবে যেসব খাবারে

রক্তে জমাট বাঁধাঃ শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি ঝুঁকি হলো অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অনেক সময় রক্তে জমাট বাঁধে অর্থাৎ রক্ত কিছুটা ঘন হয়ে যায়। আসলে হয় কি, জমাট বাঁধা রক্ত রক্তনালীকে ব্লক করে দেয় এবং এর ফলে হৃদপিন্ডের পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে আর এই কারণে হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা ঘটে। তবে সতর্কতা অবলম্বনে এই ধরণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা হতে পারে। অর্থাৎ অতিরিক্ত ঠান্ডায় গরম পোশাক, বিশেষ করে মাথা কান, হাত, পা ইত্যাদি গরম পোশাকে আচ্ছাদিত করতে হবে এবং বিশেষ করে ভোর বেলা বাইরে না বেড়ানো, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান না করা। মোট কথা ঠান্ডায় নিজেকে নিরাপদ রাখাটা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমে থাকে।

স্ট্রেস হরমোনঃ মূলত ঠান্ডা তাপমাত্রার ফলে অ্যাডোনালিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনগুলির নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। অর্থাৎ এগুলো হৃদস্পন্দন ও শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে থাকে, যার কারনে তা হৃদপিণ্ডের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করে থাকে।

শারীরিক পরিশ্রমের অভাবঃ সাধারণত শীতকালে মানুষের শারীরিক মুভমেন্ট অর্থাৎ নড়াচড়া কম হয়ে থাকে এবং সেইসঙ্গে কোন কোন ক্ষেত্রে হঠাৎ কোন ভারী কাজ করা বা ভারী কোন জিনিস টেনে সরাতে গিয়ে তা হৃদপিণ্ডের ওপর আকস্মিক চাপ সুষ্টি হতে পারে এবং তার ফলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণঃ ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন, তার অন্যতম কারণ হতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ। যেমন-চর্বিযুক্ত খাদ্য, অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ এবং সর্বোপরি খোলা বা উন্মৃক্ত স্থানে তৈরিকৃত খাদ্য গ্রহণ। অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণ না করে বিভিন্ন স্থানের তৈরিকৃত অতিরিক্ত মসলা, তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণও অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কারণ হয়ে থাকে।

পর্যাপ্ত পানি পান না করাঃ সাধারণত শীতকালে মানুষের পানি পিপাসা কম লাগে। তবে অনেকেই কিন্তু ঠান্ডা লাগার ভয়ে পানি খুবই কম পান করে থাকেন। কিন্তু একজন মানুষের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত, কারণ পানি করলে তাতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি ঘটে।

শ্বাসতন্ত্রজনিত সমস্যাঃ সাধারণত শীতকারে মানুষের ঠান্ডাজনিত সমস্যাগুলি বেড়ে যায় এবং এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকাংশে বাড়তে পারে। যেমন সর্দিজনিত কারনে যদি নাক বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা তৈরী হয়ে থাকে ইত্যাদি। অর্থাৎ ঠান্ডাজনিত যে কোন সমস্যায় মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণসমূহঃ

সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের কিছু পূর্ব লক্ষণ থাকে, যা জানা থাকলে অন্ততপক্ষে আপনি পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন, যেমন-

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হিসেবে হঠাৎ করেই বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে এবং এটি আস্তে আস্তে চোয়ালে বা বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অর্থাৎ যখন এই ধরণের সমস্যা দেখা দিবে, তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কেননা এক্ষেত্রে একমাত্র চিকিৎসকই পারেন, আপনাকে সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে।

অনেক সময় হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ঘাম ঝরে শরীর থেকে। অর্থাৎ এই হঠাৎ করেই শরীরে যে অতিরিক্ত ঘাম হয়, এটি হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। তবে ডায়াবেটিকসের রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা করা ছাড়াও অনেক সময় অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড় করা বা হঠাৎ করেই শরীর ভারাপ লাগতে পারে। সাধারণত এই ধরণের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

অনেকেই আছে, যারা কাজ করতে করতে হঠাৎ করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যদি এটি চলমান হয়, বা মাঝে মধ্যেই যদি হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এটিও একটি হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ।

কখনো যদি এমনটা হয়ে থাকে যে, হঠাৎ করেই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বা দম আটকে এলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কারণ এটিও একটি হার্ট অ্যাপাকের পূর্ব লক্ষণ হিসেবে ধরেন নিতে পারেন।

আবার যদি আপনি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন বা কিছু কাজকর্ম করতে গেলেই বুক ধড়ফড় শুরু হয়ে যায় ইত্যাদি। যদি কখনো এমনটা চলমান একের অধিক ঘটতে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে, কারণ এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি পূর্ব লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রতিদিন কয় ঘন্টা ঘুমানো উচিত?

অনেকেই আছেন, যারা প্রচণ্ড মাথা ব্যথা শুরু হলেই ব্যশানশক বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এটি যদি নিয়মিত হতে থাকে, তাহলে তা অবশ্যই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। কারণ প্রতিদিনের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

বদহজমের মতো কিছু সমস্যাদি সাধারণত বেশির ভাগ মানুষই উপক্ষো বা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন না, তারা মনে করেন, এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টানাল সমস্যা। কিন্তু অবাক হলেও সত্য যে, এই সমস্যাগুলিও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। তবে এই ধরণের সমস্যাগুলি মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যদি এই ধরণের বদহজম বা অম্বল দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে অথবা স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা নিয়েও যখন ভালো হয় না, সেক্ষেত্রে অবশ্যই অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।

মানসিক উদ্বেগ হার্ট অ্যাটাকের একটি অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। অর্থাৎ অনেকেই আছেন, যারা বিভিন্ন কারণে মানসিক উদ্বেগের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আপোস করে চলতে থাকেন। আবার অনেকেরই দাবী,তারা হার্ট অ্যাটাকের আগে অনেকদিন থেকেই খিটখিটে মেজাজ প্রদর্শন করে আসছিলেন। অর্থাৎ এই সমস্ত উপসর্গগুলিও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।

অনেকেরই আবার পায়ের গোড়ালি বা পা ফুলে যায়, যদি এই ধরণের সমস্যা বেশ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে এটিও একটি হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে মনে করতে পারেন। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, শরীরে তরল ধরে রাখার কারণে হৃৎপিণ্ড কার্যকরভাবে শরীরের মাধ্যমে তরল পাম্প করতে পারে না। তাই এই ধরণের অবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াটা অত্যন্ত জরুরী।

বমি বমি ভাব বা মাথা ঘোরাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। অর্থাৎ যদি ঘন ঘন বা দীর্ঘমেয়াদী এই ধরণের উপসর্গগুলি শরীরে দেখা দেয়, তাহলে তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এই ধরণের সমস্যাগুলি বেশিরভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই ধরণের উপসর্গগুলি যদি ঘন ঘন আপনার শরীরে দেখা দেয়, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণের একটি কারণ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে দেরী না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর সাধারণ কিছু উপায়সমূহঃ

ঠান্ডার সময় অবশ্যই নিয়মিত গরম পোশাক পরিধান করা এবং নিজেকে উষ্ণ রাখতে সচেতনতা থাকা। অর্থাৎ শীতকালে আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা অত্যন্ত ঠান্ডা হয়ে যায়, এর ফলে যথোপযুক্ত গরম কাপড় না পড়ার কারণে তা শরীরে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে এবং তা থেকে অন্যান্য অসুখের উপসর্গও দেখা দিতে পারে, তাই সচেতনতার সাথে এবং নিয়মিত গরম কাপড় পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলে হবে।

অনেকেই আছে, যারা কোন পরিকল্পনা ছাড়াই হঠাৎ করেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করে ফেলে। এটি হতে পারে, তবে তা অবশ্যই শীতকালে করা যাবে না। কারণ ঠান্ডার সময় যদি হঠাৎ করে কেউ অতিরিক্ত পরিশ্রম করে, তাহলে তা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির শামিল বলে প্রতীয়মান হতে পারে। মোট কথা হার্টকে সুস্থ্য রাখতে হলে অবশ্যই হঠাৎ করেই অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলতে হবে।

সাধারণত ঠান্ডাজনিত কারণে মানুষ এমনিই শারীরিক নড়াচড়া বা হাঁটাচলা কম করে থাকে। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। তাই শীতকালে নিয়মিত শরীরচর্চা বা হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

অনেকেই আছেন, যারা পছন্দক্রম অনুসারে অথবা প্রয়োজনেই বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে থাকে। সবথেকে বড় বিষয় হলো, শীতকালে আবার ভাজাপোড়া খেতে অনেকই পছন্দ করে থাকেন। এক্ষেত্রে হার্টকে সুস্থ্য, সবল রাখতে অবশ্যই অস্বাস্থ্যকর কোন খাদ্য গ্রহণ না করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস বজায় রাখতে হবে।

ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন-শেষ কথা

প্রকৃতপক্ষে ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণগুলি যদি বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে এককথায় বলা যেতে পারে সচেতনতার অভাবজনিত কারণ। অর্থাৎ মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের পোশাক-পরিচ্ছদেরও পরিবর্তন দরকার। আর সুস্থ্য, সবল জীবন সকলেরই প্রত্যাশা। কিন্তু ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন এ ধরণের বিষয়ে আশাকরি উপরোক্ত আলোচনাগুলি থেকেই জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন: শীতে কুসুম গরম পানি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী

মূলত শারীরিক মুভমেন্ট, মৌসুমজনিত ফ্লু, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, ঠান্ডায় সতর্ক না থাকা, শারীরিক যে কোন সমস্যায় সময়মত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ না করা এবং সেইসাথে তা দীর্ঘদিন ধরে গোপন বা সে বিষয়ে উদাসীনতা প্রদর্শন ইত্যাদি নানা ধরণের বিষয়ের সাথে ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন বিষয়টি সম্পৃক্ত। তাই আজকের আলোচনার বিষয়টি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য/পরামর্শ থাকে, তাহলে তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। আর ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন এর পরামর্শগুলি যদি আপনার নিকট গ্রহণযোগ্য মনে হয়, তাহলে তা অন্যদের শেয়ার করতে পারেন। পরিশেষে ঠান্ডার সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন বিষয়ক আলোচনায় আপনার দীর্ঘক্ষণ উপস্থিতি এবং সম্পৃক্ততার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Mithu Sarker
Mithu Sarker
আমি মিঠু সরকার, দুই বছর ধরে ডিজিটাল মার্কেটিং ও এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে আসছি। ব্লগ পোস্ট, ওয়েব কনটেন্ট ও মার্কেটিং রাইটিংয়ে আমার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। মানসম্মত ও পাঠকবান্ধব লেখার মাধ্যমে অনলাইন সফলতা গড়াই আমার লক্ষ্য।